পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত জান তো কল্পনাবালা, কত সুখে ছেলেবেলা সেইখানে করেছি। যাপনসেদিন পড়িলে মনে প্ৰাণ যেন কেঁদে ওঠে, হুহু ক'রে ওঠে যেন মন। নিশীথে নদীর পরে ঘুমিয়েছে ছায়া-চাদ, একটি দুরন্ত ঢেউ জাগে নি নদীর কোলে, পাতাটিও নড়ে নি বাতাসে, তখন যেমন ধীরে দূর হতে দূর প্রান্তে নাবিকের বঁাশারীর গানধরি, ধরি করি সুর ধরিতে না পারে মন, উদাসিয়া ওঠে যেন প্ৰাণ! কি যেন হারানো ধন কোথাও না পাই খুঁজে, কি কথা গিয়াছি যেন ভুলে, বিস্মৃতি স্বপনবেশে পর্যানের কাছে এসে আধস্মৃতি জাগাইয়া তুলে। তেমনি হে কলপনা, তুমি ও বীণায় যাবে বাজাও সেদিনকার গান, আঁমাধার মরমমাঝে জেগে ওঠে। প্ৰতিধবনি, কেঁদে ওঠে আকুল পর্যান! হা দেবি, তেমনি যদি থাকিস্তাম চিরকাল! না ফুরাত সেই ছেলেবেলা, হৃদয় তেমনি ভাবে করিত গো থল থল, মারমেতে তরঙ্গের খেলা ! ঘুম ভাঙা আঁখি মেলি যখন প্ৰফুল্ল উষা ঢেউগুলি জেগে ওঠে। পুলিনের কানে কানে কহে তার মরমের আশ ।

  • বিষগ্র কিরণ তার শ্রান্ত বালকের মতো

পড়ে থাকে সুনীল সলিলে। নিস্তব্ধ সকল দিক, একটি ডাকে না পাখি, একটুও বহে না বাতাস, তেমনি কেমন এক গভীর বিষন্ন সুখ হৃদয়ে তুলিত দীর্ঘশ্বাস। এইরুপ কত কি যে হািদয়ের ঢেউ-খেলা

  • Gł 9