পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bot SR 8 রবীন্দ্র-রচনাবলী ওজনে হিসাব করবার কথা মনেই করতে পারে না । সেইজন্যে জাপানে যখন আমার কাছে কেউ কবিতা দাবি করেছে, দুটি-চারটি লাইন দিতে আমি কুষ্ঠিত হইনি। তার কিছুকাল পূর্বেই আমি যখন বাংলাদেশে গীতাঞ্জলি প্রভৃতি গান লিখছিলুম, তখন আমার অনেক পাঠকই লাইন গণনা করে আমার শক্তির কাপণ্যে হতাশ হয়েছিলেন- এখনো সে-দলের লোকের অভাব নেই । এইরকম ছোটো ছোটো লেখায় একবার আমার কলম যখন রস পেতে লাগল। তখন আমি অনুরোধনিরপেক্ষ হয়েও খাতা টেনে নিয়ে আপন-মনে যা-তা লিখেছি... । -রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৪ (সুলভ ৭ ); লেখন (১৩৬৮) লেখন-এর ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “এই লেখনগুলি সুরু হয়েছিল চীনে জাপানে ৷” কিন্তু চীনে জাপানে যাইবার পূর্বেও কবিকে ‘স্বাক্ষরলিপির দাবি মিটাইতে হইয়াছে। স্মৃলিঙ্গের কবিতাগুলির অধিকাংশের রচনাকাল নির্ণয় করা দুরূহ। বিভিন্ন স্বাক্ষরসংগ্রহে যে তারিখ পাওয়া যায় তাহাই যে উহার রচনাকাল, তাহা নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না । বহু কবিতা লেখন কাব্য-প্রকাশের পরবর্তীকালে রচিত, কতকগুলি লেখনের সমসাময়িক, বহু পুরাতন পাণ্ডুলিপি হইতেও কয়েকটি কবিতা সংগৃহীত হইয়াছে। ২১,৮০, ৯৯, ১৭৯, ২৩৮ ও ২৫৭ -সংখ্যক কবিতা গীতিমল্যের পাণ্ডুলিপি হইতে সংগৃহীত ; বিলাতের নার্সিংহােমে বা সমুদ্রবক্ষে, ১৯১৩ সালে রচিত অনেকগুলি লেখন এই খাতায় আছে ; তাহার অধিকাংশ লেখন গ্রন্থে স্থান পাইয়াছে অবশিষ্টগুলি স্মৃলিঙ্গে সংকলিত । ৩০-সংখ্যক কবিতা মূলত পরিশেষ-ধূত ‘দিনাবসান কবিতার (২৫ বৈশাখ ১৯৩৩) অঙ্গীভূত ছিল ; পরিশেষে সংকলনের কালে বর্জিত । অধুনা প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথের বৈকালী-কাব্যে (আষাঢ় ১৩৮১) ৪০–সংখ্যক কবিতার চতুর্থ স্তবক। -রূপেও পাওয়া যাইবে । উক্ত গ্রন্থে গ্ৰন্থপরিচয় অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বলা হইয়াছে । ১১৫-সংখ্যক কবিতাটিকে সেঁজুতি গ্রন্থের (রচনাবলীর দ্বাবিংশ খণ্ড : সুলভ একাদশ) “প্ৰতীক্ষা’ কবিতার পূর্বাভাস বলা চলে ; ১২৮-সংখ্যক কবিতাটির গীতরূপ ‘ওরে নূতন যুগের ভোরে প্রচলিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডে বা অখণ্ড গীতবিতান গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট । ১৪৭-সংখ্যক কবিতাটি মহুয়া কাব্যের (রচনাবলীর পঞ্চদশ খণ্ড: সুলভ অষ্টম) উৎসর্গপত্রের শুধায়ে না, কবে কোন গান' কবিতাটির পূর্বতন পাঠ । ১০২ ও ১১৬ -সংখ্যক কবিতাকে লেখনের দুটি কবিতার রূপান্তর বলা যায় । কোনো-এক সময়ে লেখনের ‘কুন্দকলি ক্ষুদ্র বলি নাই দুঃখ নাই তার লাজ’ কবিতাটি কাটিয়া এই গ্রন্থে ১৯৩-সংখ্যক কবিতাটি লেখা হয় । ১৪৮ ও ২৫২ -সংখ্যক কবিতা-দুটিকে লেখনে-মুদ্রিত দুটি ইংরেজি লেখার পাঠান্তর বলা চলে । লেখনের অন্তর্গত বাংলা কবিতাগুলি রচনাবলী চতুর্দশ খণ্ডে (সুলভ সপ্তম) ছাপা হইয়াছে। উক্ত খণ্ডে লেখনের প্রথম পৃষ্ঠায় ইংরেজি কবিতার নিদর্শনমাত্র দেওয়া হইয়াছে । 8პა, Nტ8, °i8, `ა oNტ, `ა აა, `ა ა(č, `ა (čve), აNტŠ, ა \ხ(?, `ა \ეხr, ა°l O, ა ზ (č, აპამ, აპა°l, ২১৪, ২৩১, ২৩৩, ২৪৯ ও ২৫১ –সংখ্যক কবিতাগুলির ইংরেজিমাত্র লেখনে আছে । "br、br○、br8, brや、>のの、>の>、>の○、>> ミ、>ミo、>88、>Q>、 >Q8、>Q>、>"○。 ১৮৫, ১৯২, ২২৪, ২২৯, ২৩০, ২৪৬ ও ২৫৩ –সংখ্যক কবিতা রবীন্দ্রনাথ। ছন্দ গ্রন্থে (রচনাবলী একবিংশ খণ্ড: সুলভ একাদশ) উদাহরণস্বরূপে ব্যবহার করিয়াছেন । ১৬-সংখ্যক কবিতাটি কবির অঙ্কিত একখানি চিত্রের পরিচয় । ১৪৩-সংখ্যক কবিতাটি ‘একটি ফরাসী কবিতার অনুবাদ’ । মূল কবিতার রচয়িতা জা-পীয়ের ফ্লরিয়া (জন্ম ১৭৫৫ খৃস্টাব্দ) । রবীন্দ্ৰ-শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মৃলিঙ্গের পরিবর্ধিত সংস্করণে নূতন-সংযোজিত