পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br8O রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী শান্তিনিকেতন ব্ৰহ্মচর্যাশ্রম শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের পঞ্চাশদাবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রথম প্রকাশিত হয় ৭ পৌষ ১৩৫৮ সালে । প্রতিষ্ঠা দিবসের উপদেশ : ১৩০৮ সালের ৭ই পৌষ আশ্রমবিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাদিবসে রবীন্দ্ৰনাথ ছাত্ৰগণের প্রতি যে উপদেশ দেন তাহা সমসাময়িক তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় (মাঘ ১৮২৩ শক) “শান্তিনিকেতনে একাদশ সাম্বাৎসরিক উৎসব-বিবরণের অন্তৰ্গত হইয়া প্ৰকাশিত হয় । “সর্বপ্রথমে ভক্তিভাজন শ্ৰীযুক্ত বাবু সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদ্যালয় সম্বন্ধে কিছু বলিলেন । পরে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবকদিগকে ব্ৰহ্মচর্যে দীক্ষিত করিলেন ।” উপদেশান্তে “বক্তা গায়ত্রী মন্ত্র ব্যাখ্যা করিয়া ছাত্ৰাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন ।” উপদেশটি পূর্বে সুধীরচন্দ্র কর – প্রণীত “শান্তিনিকেতনে ৭ই পৌষ গ্রন্থে (১৩৩৬) পুনর্মুদ্রিত হইয়াছিল। প্ৰথম কার্যপ্ৰণালী : শান্তিনিকেতন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইবার পর-বৎসরেই লিখিত রবীন্দ্রনাথের এই পত্ৰখানি শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেন মহাশয়ের সৌজন্যে আমাদের হস্তগত হইয়াছে ; “রবীন্দ্রজীবনীকার অনুমান করেন, “ইহাই শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়ের প্রথম constitution বা বিধি” । এই প্রসঙ্গে ক্ষিতিমোহন সেন মহাশয় লিখিয়াছেন— “শান্তিনিকেতনের কাজে ১৯০৮ সালে যোগ দিই। কী আদর্শ লইয়া রবীন্দ্রনাথ এই আশ্রম স্থাপন করিয়াছেন এবং কীভাবে তিনি ইহার পরিচালনা চাহেন। এখানে আসিয়া তাহা জানিতে চাহিলে তিনি একখানি সুদীর্ঘ পত্ৰ আনিয়া আমাকে দেন। পত্ৰখানি কুড়িপৃষ্ঠাব্যাপী, এবং আগাগোড়া লেখা । তখন বিদ্যালয়ের একেবারে প্রাথমিক পর্ব। তখনই যে তাহার অন্তরে শিক্ষাজীবনের পরিপূর্ণ মূর্তিটি দেখা দিয়াছিল। এই পত্রে তাহার পরিচয় পাওয়া যায়। পত্ৰখানি লেখা কবিগুরুর পত্নীবিয়ােগের মাত্র দিন-দশেক পূর্বে— খুব উদবেগের একটি সময়ে, পত্রশেষে তাহার উল্লেখও করিয়াছেন। তবু এই পত্রে যে সূক্ষ্ম বিচার ও খুঁটিনাটির দিকে দৃষ্টি দেখি তাহাতে বিস্মিত হইতে হয় ।” - পত্ৰখানি কুঞ্জলাল ঘোষ মহাশয়কে লিখিত । ‘স্মৃতি” গ্রন্থে মুদ্রিত (পৃ. ১১), শান্তিনিকেতনের তৎকালীন অধ্যাপক মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে রবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক লিখিত, সমসাময়িক একটি পত্রে এই চিঠিখানির উল্লেখ আছে— “কুঞ্জবাবু শীঘ্রই বােলপুরে যাইবেন। আশা করিতেছি তাহার নিকট হইতে নানা বিষয়ে সাহায্য পাইবেন । অধ্যাপনা-কার্যেও তিনি আপনাদের সহায় হইতে পরিবেন । আন্তরিক শ্রদ্ধার সহিত তিনি এই কার্যে ব্ৰতী হইতে উদ্যত হইয়াছেন। ইহার সম্বন্ধে যত লোকের নিকট হইতে সন্ধান লইয়াছি সকলেই একবাক্যে ইহার প্রশংসা করিয়াছেন। “বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ও কার্যপ্ৰণালী সম্বন্ধে আমি বিস্তারিত করিয়া ইহাকে লিখিয়াছিলাম । এই লেখা আপনারাও পড়িয়া দেখিবেন- যাহাতে তদনুসারে ইনি চলিতে পারেন। আপনারা ইহাকে সেইরূপ সাহায্য করিতে পারেন । “বিদ্যালয়ের কর্তৃত্বভার আমি আপনাদের তিন জনের উপর দিলাম- আপনি, জগদানন্দ ও সুবোধ। এই অধ্যক্ষসভার সভাপতি আপনি ও কাৰ্যসম্পাদক কুঞ্জবাবু। হিসাবপত্র তিনি আপনাদের দ্বারা পাস করাইয়া লইবেন এবং সকল কাজেই আপনাদের নির্দেশমত চলিবেন । এ সম্বন্ধে বিস্তৃত নিয়মাবলী তাহাকে লিখিয়া দিয়াছি, আপনারা তাহা দেখিয়া লইবেন ।” ১৩১০ সালের ২৬ জ্যৈষ্ঠ তারিখে আলমোড়া হইতে লিখিত একটি পত্রে কুঞ্জলাল ঘোষ মহাশয়ের পরিচয়-স্বরূপ রবীন্দ্ৰনাথ লিখিয়াছিলেন