পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় Եr8 ֆ “বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাভার একজন কড়া লোকের হাতে না দিলে ক্রমে বিপদ আসন্ন হইতে পারে। ইহাই অনুভব করিয়া কুঞ্জবাবুর হস্তে ভার সমর্পণ করিয়াছি। তিনি ভাবুক লোক নহেন কাজের লোক— সুতরাং ভাবের দিকে বেশি ঝোক না দিয়া তিনি কাজের দিকে কড়াক্কড়ী করেন— তাহাতে তিনি লোকের কাছে অপ্রিয় হইয়া পড়েন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও স্থায়িত্বের পক্ষে এরূপ লোকের প্রয়োজন অনুভব করি। আমার সঙ্গেও তাহার স্বভাবের ঐক্য নাই— থাকিলে আনন্দ পাইতাম কাজ পাইতাম না ।” পত্ৰখানি যে কুঞ্জলাল ঘোষকে লিখিত শ্ৰীনির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাহা অনুমান করেন, তিনিই বর্তমান মন্তব্যে সংকলিত পত্র দুইখানির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিলেন। সমবায়নীতি বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহের শততম সংখ্যারূপে প্ৰথম প্ৰকাশিত হয় ১৩৬০ সালের চৈত্র মাসে । সমবায়নীতি সম্বন্ধে রবীন্দ্ৰনাথ বিভিন্ন সময়ে যে-সকল প্ৰবন্ধ লিখিয়াছিলেন ও ভাষণদান করিয়াছিলেন এই গ্রন্থে সেগুলি সংকলিত । রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে গ্ৰন্থখানির সকল প্ৰবন্ধই অন্তর্ভুক্ত হইল । সাময়িক পত্রে রচনাগুলির প্রকাশের সূচী দেওয়া হইল— সমবায় ১ : ভাণ্ডার, শ্রাবণ ১৩২৫ সমবায় ২ : বঙ্গবাণী, ফায়ুন ১৩২৯ ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা : ভাণ্ডার, শ্রাবণ ১৩৩৪ সমবায়নীতি : পুস্তিকাকারে প্রকাশ, ২৭ মাঘ ১৩৩৫ পরিশিষ্ট । "চরকা’ প্রবন্ধের* অংশ ; সবুজপত্র, ভাদ্র ১৩৩২ ভূমিকা-রূপে ব্যবহৃত রবীন্দ্রনাথের বাণী সুধীরচন্দ্র কর –লিখিত “লোকসেবক রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধে (মাসিক বসুমতী, অগ্রহায়ণ ১৩৬০) অংশত প্রকাশিত হয় । বিশ্বভারতী সমবায় কেন্দ্রীয় কোষের কর্মীদের প্রতি আশীর্বাণীরূপে ইহা (প্ররিত হইয়াছিল (১৯২৮) ; অন্যতম কর্মী নন্দলাল চন্দ্রের সৌজন্যে এই তথ্য এবং এই রচনার পাণ্ডুলিপি পাওয়া গিয়াছে। এই তালিকায় উল্লিখিত ‘ভাণ্ডার বঙ্গীয় সমবায়-সংগঠন সমিতির মুখপত্র । সমবায় ১ প্ৰবন্ধ ইহার প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হইয়াছিল । সমবায় ২ নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় -প্ৰণীত গ্রন্থের ভূমিকা-রূপে কল্পিত- তাহার “জাতীয় ভিত্তি’ (১৩৩৮) গ্রন্থে ভূমিকা-রূপে ইহা মুদ্রিত হয় । “বঙ্গবাণীতে প্রকাশিত প্রবন্ধের অতিরিক্ত এক অনুচ্ছেদ ঐ ভূমিকায় (ও বর্তমান গ্রন্থে) মুদ্রিত হইয়াছে। ১৯২৭ সালের “২রা জুলাই আন্তর্জাতিক সমবায় উৎসবের দিনে কলিকাতায় [অ্যালবার্ট হলে] বঙ্গীয় সমবায়-সংগঠন-সমিতি -কর্তৃক অনুষ্ঠিত উৎসবের সভাপতিরূপে রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা দেন”, হিরণকুমার সান্যাল ও সজীনকান্ত দাস -লিখিত তাহার অনুলিপি বক্তা-কর্তৃক সংশোধিত হইয়া ভাণ্ডার পত্রে ‘ভারতবর্ষে সমবায়ের বিশিষ্টতা’ নামে মুদ্রিত হয়। শ্ৰীনিকেতনে ১৩৩৫ সালের ২৭ মাঘ সর। ড্যানিয়েল হ্যামিলটনের সভাপতিত্বে বর্ধমান বিভাগীয় সম্মিলনের প্রথম অধিবেশন হয়- রবীন্দ্রনাথ তাহার উদবোধনকালে যে প্ৰবন্ধ রচনা করেন তাহা ঐ উপলক্ষে ‘সমবায়নীতি’ নামে পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয় (২৭ মাঘ ১৩৩৫)। ১ কালান্তর ; রবীন্দ্র-রচনাবলী ২৪(সুলভ ১২)