পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰন্থপরিচয় br8S প্রতিভাষণ : ১৯২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গভ্রমণে যান, এই সময় ময়মনসিংহেও গিয়াছিলেন। সেই উপলক্ষে জনসাধারণের পক্ষ হইতে র্তাহাকে যে অভিনন্দন জ্ঞাপন করা হইয়াছিল। তাহার উত্তর । বাঙালির কাপড়ের কারখানা ও হাতের ষ্ঠাত : এই প্ৰবন্ধ আচাৰ্য প্রফুল্লচন্দ্রের অনুরোধক্রমে রচিত, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ‘রবীন্দ্রজীবনীতে এই সংবাদ দিয়াছেন। ‘বাংলার তাতি’ নামে ১৩৩৮ কার্তিক সংখ্যা ‘বিচিত্রাতেও প্রকাশিত হইয়াছিল। মোহিনী মিল -কর্তৃক প্রবন্ধটি পুস্তিকাকারেও প্রচারিত হয়। জলোৎসর্গ : “এবারকার বর্ষামঙ্গলে একটু নূতনত্ব ছিল। চিরপ্রচলিত প্ৰথাকে লঙ্ঘন করে এবার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল আশ্রমের বাইরে নিকটবতী ভুবনডাঙা গ্রামে [ ৭ ভাদ্র ১৩৪৩] । সেখানকার একমাত্র সম্বল একটি বৃহৎ জলাশয় বহুকাল যাবৎ পঙ্কোদ্ধারের অভাবে লুপ্তপ্রায় হয়ে এসেছিল। গ্রামবাসীদের জলাভাবের অন্ত ছিল না। বিশ্বভারতীর প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় প্রমুখ কমীদের উদ্যোগে এবং গ্রামবাসীদের সহযোগে অধুনা এই পুকুরটিকে খনন ক’রে নির্মল জলের সম্বল ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই জলাশয়-প্রতিষ্ঠা এবার আমাদের বর্ষামঙ্গল-উৎসবের একটি অঙ্গরূপে পরিগণিত হয়, তাই ভুবনডাঙা গ্রামের প্রান্তে এই জলাশয়ের তীরেই উৎসবের মণ্ডপ রচিত হয় --- সর্বশেষে কবি--- নব-উৎসারিত জলকে অভিনন্দিত ক'রে একটি অভিভাষণ দ্বারা উৎসবকে সুসম্পূর্ণ এবং সমাপ্ত করলেন।” সম্ভাষণ : অধিনায়ক রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে, ৩০ ফায়ুন ১৩৪৩ তারিখে, সাহিত্য-প্রতিষ্ঠান ‘রবিবাসর’ শান্তিনিকেতনে এক অধিবেশনে সমবেত হন, তদুপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ যাহা বলেন তাহার অনুলিপির একাংশ । অভিভাষণ : ১৩৪৬ সালের ফাল্লুন মাসে রবীন্দ্রনাথ বাঁকুড়ায় যান। জনসভায় অভিনন্দনের উত্তরে এই ভাষণ । এই গ্রন্থে সংকলিত অনেকগুলি রচনাই বক্তৃতার অনুলিপি, অধিকাংশ স্থলে কবি-কর্তৃক সংশোধিত— কোনো-কোনো ক্ষেত্রে সে কথা সাময়িক পত্রে উল্লিখিত ; অপর কোনো-কোনো স্থলে তাহা অনুমান করা যায়। তবে কতক সংকলন যে যথোচিত অথবা সংশোধিত অনুলিপি নহে তাহাও সহজেই বুঝা যায়- বিষয়গুণে এগুলিও রক্ষিত হইল । পল্লীপ্রকৃতি গ্ৰন্থ সংকলন করিয়াছেন পুলিনবিহারী সেন ; বিস্তারিত গ্ৰন্থপরিচয়ও তিনি রচনা করেন। বর্তমান প্রসঙ্গে অন্যান্য বিবরণ স্বতন্ত্ৰমুদ্রিত পল্লীপ্রকৃতির গ্রন্থপরিচয় অংশে দ্রষ্টব্য। ১৩১৭ সালে ‘বেঙ্গলী' পত্রের সহকারী সম্পাদক পদ্মিনীমোহন নিয়োগী -কর্তৃক অনুরুদ্ধ হইয়া রবীন্দ্রনাথ একটি চিঠিতে র্তাহার যে সংক্ষিপ্ত জীবনকথা লিপিবদ্ধ করেন, রবীন্দ্রনাথের হস্তাক্ষরে সেই চিঠিটি স্বতন্ত্রভাবে মুদ্রিত হইয়াছে। পত্রটি “আত্মপরিচয়” গ্রন্থে সন্নিবিষ্ট । এই পত্রে উল্লিখিত রবীন্দ্রনাথের স্ত্রীবিয়োগের কাল, ১৩০৭ স্থলে ১৩০৯ হইবে । এই খণ্ড সংকলনের কাজে সহায়তা করিয়াছেন অমিয়কুমার সেন । ১ প্রভাতচন্দ্ৰ গুপ্ত, “শান্তিনিকেতনে বর্ষামঙ্গল’, প্রবাসী, কার্তিক ১৩৪৩ । প্ৰবন্ধটিতে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত বিবরণ আছে । ]