পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 6.8 রবীন্দ্র-রচনাবলী শৈল । আমাকে তাড়াতে চাও এখান থেকে ? শচীন। সতীশ সেই অপেক্ষাই করছে । ও যাবে সঙ্গে সঙ্গে । শৈল । রাগিয়ে না বলছি, তা হলে তোমার কথাও ফাস করে দেব। শচীন। জেনে নাও বন্ধুগণ, আমারও ফাস করবার যোগ্য খবর আছে। সতীশ । মিস্ বাণী, দেখছ লোকটার স্পর্ধা ? গুজবটাকে ঠেলে আনছে তোমার দিকে। পাশ কাটাতে না পারলে অ্যাকৃসিডেন্ট, অনিবার্ষ। লীলা । মিস্ বাণীকে সাবধান করতে হবে না। ও জানে তাড়া লাগালেই বিপদকে খেদিয়ে আনা হয়। তাই চুপচাপ আছে, কপালে যা থাকে। ঐ-যে কী গানটা, বলেছিল ধরা দেব না’ । গান বলেছিল ধরা দেব না, শুনেছিল সেই বড়াই । বীরপুরুষের সয় নি গুমোর, বাধিয়ে দিয়েছে লড়াই। তার পরে শেষে কী-যে হল কার, কোন দশা হল জয়পতাকার— কেউ বলে জিত, কেউ বলে হার, আমরা গুজব ছড়াই । অর্চনা। আঃ, কেন তোরা বাণীকে নিয়ে পড়েছিল । ও এখনি কেঁদে ফেলবে । স্বৰ্ষীমা, যা তো ক্ষিতীশবাবুকে ডেকে আন চ খেতে । লীলা । হায় রে কপাল | মিথ্যে ডাকবে, চোখ নেই, দেখতে পাও না ! সতীশ । কেন, দেখবার কী আছে। লীলা। ঐ-যে, এণ্ডি চাদরের কোণে মস্ত একটা কালির দাগ। ভেবেছেন চাপা দিয়েছেন কিন্তু ঝুলে পড়েছে। সতীশ । আচ্ছা চোখ যা হোক তোমার ! লীলা। বোমা তদন্তে পুলিস না এলে ওঁকে নড়ায় কার সাধ্যি। সতীশ । আমার কিন্তু ভয় হয়, কোনদিন বঁাশরি ঐ জখমী মানুষকে বিয়ে করে পরিবারের মধ্যে আতুরাশ্রম খুলে বসে। লীলা। কী বল তার ঠিক নেই। বঁাশরির জন্তে ভয় । ওর একটা গল্প বলি, ভয় ভাঙবে শুনে। আমি উপস্থিত ছিলুম। শচীন। কী মিছে তাস খেলছ তোমরা ! এসো এখানে, গল্প-লিখিয়ের উপর গল্প । শুরু করে । । | صے