পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাশার , , ›ቑዕ ওর মধ্যে একটা মন্ত্র নিতুম মাথায়, আর-একটা মন্ত্রে প্রতিদিন প্রতিবাদ করতুম হৃদয়ে । ጳ ক্ষিতীশ । এখন কাজের কথা পাড়া যাক । ইতিহাসের গোড়ার দিকটায় ফাক রয়েছে। ওদের বিবাহসম্বন্ধ সন্ন্যাসী ঘটাল কী উপায়ে । বঁাশরি। প্রথমত সেনবংশ যে ক্ষত্রিয়, সেনানী শব্দ থেকে তার পদবীর উদ্ভব, ওরা যে কোনো-এক খ্ৰীস্ট-শতাব্দীতে এসেছিল কোনে-এক দক্ষিণপ্রদেশ থেকে দিগ বিজয়ীবাহিনীর পতাকা নিয়ে বাংলার কোনে+এক বিশেষ বিভাগে, সেইটে প্রমাণ করে লিখল এক সংস্কৃত পুথি । কাশীর দ্রাবিড়ী পণ্ডিত করলে তার সমর্থন। সন্ন্যাসী স্বয়ং গেল সোমশংকরদের রাজ্যে। প্রজারা স্থা করে রইল ওর চেহারা দেখে ; কানাকানি করতে লাগল, কোনো একটা দেব-অংশের ঝালাই দিয়ে এর দেহখানা তৈরি। সভাপণ্ডিত মুগ্ধ হল শৈবদর্শনব্যাখ্যায়। রাজাবাহাদুরের মনটা সাদা, দেহটা জোরালো, তাতে লাগল কিছু সন্ন্যাসীর মন্ত্র, কিছু লাগল প্রকৃতির মোহ। তার পরে এই যা দেখছ। so ক্ষিতীশ । হায় রে, সন্ন্যাসী কি আমাদের মতো অভাজনদের হয়ে স্থূল প্রকৃতির তরফে ঘটকালি করেন না । বঁাশরি। রাখে তোমার ছিবলেমি । ভুল করেছি তোমাকে নিয়ে। যে মানুষ খাটি লিখিয়ে তার সামনে যখন দেখা দিয়েছে স্বষ্টিকল্পনার এমন একটা জীবন্ত অাদর্শ দব দব, করছে যার নাড়ি, তার মুখ দিয়ে কি বেরোয় খেলো কথা। কেমন করে জাগাব তোমাকে। আমি যে প্রত্যক্ষ দেখছি একটা মহারচনার পূর্বরাগ, শুনছি তার অন্তহীন নীরস কান্না । দেখতে পাচ্ছ না অদৃষ্টের একটা নিষ্ঠুর ব্যঙ্গ ? থাক গে, শেষ হল আমার কথা। তোমার খাবার পাঠিয়ে দিতে চললুম। [ প্রস্থানোস্থ্যম ক্ষিতীশ । (ছুটে গিয়ে হাত চেপে ধরে ) চাই নে খাবার। যেয়ে না তুমি । বঁাশরি । (হাত ছিনিয়ে নিয়ে উচ্চহাস্তে ) তোমার বেমানান গল্পের নায়িকা পেয়েছ আমাকে ! আমি ভয়ংকর সত্যি। حياته ড্রেসিং-গাউন-পরা সতীশের প্রবেশ সতীশ। উচ্চহাসির আওয়াজ শুনলুম যে । বঁাশরি। উনি এতক্ষণ স্টেজের মুম্বাবুর নকল করছিলেন । সতীশ । ক্ষিতীশবাবুর নকল আসে নাকি ।