পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবজাতক । ওগো প্রবীণ, চলে এবার সকল কাজের শেষে নবীন হাসি মুখে নিয়ে চরম খেলার বেশে । রাত্রি অভিভূত ধরণীর দীপ-নেভা তোরণদুয়ারে আসে রাত্রি, আধা অন্ধ, আধা বোবা, বিরাট অস্পষ্ট মূর্তি, যুগারম্ভস্থষ্টিশালে অসমাপ্তি পুঞ্জীভূত যেন নিদ্রার মায়ায় । হয় নি নিশ্চিত ভাগ সত্যের মিথ্যার, ভালোমন্দ-যাচাইয়ের তুলাদণ্ডে বাটখারা ভুলের ওজনে । কামনার যে পাত্রটি দিনে ছিল আলোয় লুকানো আঁধার তাহারে টেনে আনে— ভরে দেয় স্বরা দিয়ে রজনীগন্ধার গন্ধে, ঝিমিঝিমি ঝিল্লির ঝননে, আধ-দেখা কটাক্ষে ইঙ্গিতে । ছায়া করে আনাগোনা সংশয়ের মুখোশ-পরানো, মোহ আসে কালো মূর্তি লালরঙে একে, তপস্বীরে করে সে বিদ্রুপ । বেড়াজাল হাতে নিয়ে সঞ্চরে আদিম মায়াবিনী যবে গুপ্ত গুহ হতে গোধূলির ধূসর প্রাস্তরে দস্থ্য এসে দিবসের রাজদণ্ড কেড়ে নিয়ে যায় । বিশ্বনাট্যে প্রথম অঙ্কের । ছিন্ন করে এসেছিল দিন, @@