পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোনার তরী। কথার কখনো ঘটেনি অভাব, যখনি বলেছি পেয়েছি জবাব, একবার ওগো বাক্য-নবাব চলো দেখি কথা শুনে । শুভ দিনখন দেখো পাজি খুলি, সঙ্গে করিয়া লহ পুথিগুলি, ক্ষণিকের তরে আলস্ত ভুলি চলো রাজসভামাঝে । আমাদের রাজা গুণীর পালক, মানুষ হইয়া গেল কত লোক, ঘরে তুমি জমা করিলে শোলোক লাগিবে কিসের কাজে ।” কবির মাথায় ভাঙি পড়ে বাজ, ভাবিল,— বিপদ দেখিতেছি আজ, কখনো জানিনে রাজামহারাজ, কপালে কী জানি আছে । মুখে হেসে বলে, “এই বই নয় ? আমি বলি আরো কী করিতে হয় । প্রাণ দিতে পারি, শুধু জাগে ভয় বিধবা হইবে পাছে । যেতে যদি হয় দেরিতে কী কাজ, ত্বরা করে তবে নিয়ে এস সাজ– হেমকুণ্ডল, মণিময় তাজ, কেয়ুর, কনকহার । বলে দাও মোর সারথিরে ডেকে । ঘোড়া বেছে নেয় ভালো ভালো দেখে, কিংকরগণ সাথে যাবে কে কে আয়োজন করো তার ।” ব্রাহ্মণী কহে, "মুখাগে যার বাধে না কিছুই, কী চাহে সে আর, SSS