পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোড়ায় গলদ さ>ぬ তারই হাতে পড়েছে। দেখতেই তো পাচ্ছ, ভাই, খাইয়ে দাইয়ে বেশ একরকম ভালো অবস্থাতেই রেখেছে । শিবচরণ। তাই তো । তার হাতের কাজটিকে দেখে তারিফ করতে হয় । তাই বটে, তোমার এখনো আধ-মাথা কাচাচুল দেখা যাচ্ছে— হায় হায়, আমার মাথাটা কেবল অযত্বেই আগাগোড়া পেকে গেল— নইলে, বয়েস এমনিই কী বেশি হয়েছে । ষা হোক আজ তবে আসি ৷ গুটিদুয়েক রুগি এখনো মরতে বাকি আছে । [ প্রস্থান ইন্দুমতীর প্রবেশ ইন্দুমতী । ও বুড়োটা কে এসেছিল বাবা ? নিবারণ। কেন মা, বুড়ো বুড়ো করছিস— তোর বাবাও তো বুড়ে । ইন্দুমতী । ( নিবারণের পাকা চুলের মধ্যে হাত বুলাইয়া ) তুমি তো আমাদের আস্তিকলের বন্তি বুড়ে তোমার সঙ্গে কার তুলনা। কিন্তু ওটা কে। ওকে তো কথনো দেখিনি । 聯 নিবারণ। ওর সঙ্গে ক্রমে খুবই পরিচয় হবে— ইন্দুমতী। আমি খুব পরিচয় করতে চাইনে । নিবারণ । তোর তো এ বাবা ক্রমে পুরানো ঝরঝরে হয়ে এসেছে, এখন একবার বাবা বদল করে দেখবিনে ইন্দু ? ইন্দুমতী। তবে আমি চললুম। নিবারণ। না না, শোন না । তুই তো তোর বাবার মা হয়ে উঠেছিস এখন একটা কথা বলি একটু ভালো করে বুঝে দেখ দেখি । তোরই যেন বাবার দরকার নেই, আমার তো একটি বাপের পদ খালি আছে— তাই আমি একটি সন্ধান করে বের করেছি মা— এখন আমার নতুন বাপের হাতে আমার পুরোনো মা-টিকে সমর্পণ করে আমার কর্তব্য কর্ম শেষ করে যাই । ইন্দুমতী । তুমি কী বকছ আমি বুঝতে পারছিনে । নিবারণ। না, তুমি আমার তেমনি হাবা মেয়ে কি না। সব বুঝতে পেরেছিস, কেবল দুষ্ট মি ! তবে বলি শোন— যে বুড়োটি এসেছিল ও আমার ছেলেবেলাকার বন্ধু, কলেজ ছাড়ার পর থেকে ওর সঙ্গে আমার এই প্রথম সাক্ষাৎ। ওর নিমাই বলে একটি ছেলে আছে— ইন্দুমতী । আমাদের নিমাই গয়লা ? নিবারণ। দুর পাগলী !