পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●〉8 রবীন্দ্র-রচনাবলী Уе বিছারী নিজে বসিয়া মহেন্দ্রকে দিয়া চিঠি লিখাইয়া লইল এবং সে-চিঠি লইয়া পরদিনই রাজলক্ষ্মীকে আনিতে গেল। রাজলক্ষ্মী বুঝিলেন, এ-চিঠি বিহারীই লিখাইয়াছে— কিন্তু তবু আর থাকিতে পারিলেন না। সঙ্গে বিনোদিনী আসিল । গৃহিণী ফিরিয়া আসিয়া গৃহের যেরূপ দুরবস্থা দেখিলেন— সমস্ত অমাজিত, মলিন, বিপর্যন্ত— তাহাতে বধূর প্রতি র্তাহার মন আরো যেন বক্র হইয়া উঠিল। কিন্তু বধূর এ কী পরিবর্তন । সে যে ছায়ার মতো তাহার অনুসরণ করে। আদেশ না পাইলেও তাহার কর্মে সহায়তা করিতে অগ্রসর হয় । তিনি শশব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠেন, “রাখে, রাখে, ও তুমি নষ্ট করিয়া ফেলিবে । জান না ষে-কাজ সেকাজে কেন হাত দেওয়া ।” রাজলক্ষ্মী স্থির করিলেন, অন্নপূর্ণ চলিয়া যাওয়াতেই বধূর এত উন্নতি হইয়াছে। কিন্তু তিনি ভাবিলেন, "মহেন্দ্ৰ মনে করিবে, খুড়ী যখন ছিল, তখন বধূকে লইয়া আমি বেশ নিষ্কণ্টকে মুখে ছিলাম— আর মা আসিতেই আমার বিরহদুঃখ আরম্ভ হইল । ইহাতে অন্নপূর্ণ যে তাহার হিতৈষী এবং মা যে তাহার স্বখের অন্তরায়, ইহাই প্রমাণ হইবে । কাজ কী ।” আজকাল দিনের বেলা মহেন্দ্র ডাকিয়া পাঠাইলে, বধু যাইতে ইতস্তত করিত— কিন্তু রাজলক্ষ্মী ভৎসনা করিয়া বলিতেন, “মহিন ডাকিতেছে, সে বুঝি আর কানে তুলিতে নাই । বেশি আদর পাইলে শেষকালে এমনই খটিয়া থাকে। যাও, তোমার আর তরকারিতে হাত দিতে হইবে না।” আবার সেই প্লেট-পেনসিল-চারুপাঠ লইয়া মিথ্যা খেলা। ভালোবাসার অমূলক অভিযোগ লইয়া পরস্পরকে অপরাধ করা। উভয়ের মধ্যে কাহার প্রেমের ওজন বেশি, তাহ লইয়া বিনা-যুক্তিমূলে তুমুল তর্কবিতর্ক। বর্ষার দিনকে রাত্রি করা এবং জ্যোৎস্নারাত্রিকে দিন করিয়া তোলা । শ্রান্তি এবং অবসাদকে গায়ের জোরে দূর করিয়া দেওয়া। পরস্পরকে এমনি করিয়া অভ্যাস করা যে, সঙ্গ যখন অসাড় চিত্তে আনন্দ দিতেছে না তখনো ক্ষণকালের জন্য মিলনপাশ হইতে মুক্তি ভয়াবহ মনে হয়— সম্ভোগস্থখ ভস্মাচ্ছন্ন, অথচ কমাস্তরে যাইতেও পা ওঠে না । ভোগস্থখের এই ভয়ংকর অভিশাপ ষে, মুখ অধিক দিন থাকে না, কিন্তু বন্ধন দুশেছন্ত হইয়া উঠে । এমন সময় বিনোদিনী এক দিন আসিয়া আশার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কহিল, “ভাই, তোমার সৌভাগ্য চিরকাল অক্ষয় হোক, কিন্তু আমি দুঃখিনী বলিয়া কি श्रांभांब्र निळक ५ीकबांद्र डांकांहे८ङ नांझे ।”