পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী স্বপ্নমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গৌড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান ‘সাধু সাধু সাধু রবে কাপে চারিধার, সবে বলে— পরিষ্কার, অতি পরিষ্কার। দুর্বোধ যা-কিছু ছিল হয়ে গেল জল, শূন্ত আকাশের মতো অত্যন্ত নির্মল । ছাপ ছাড়ি উঠলেন হবুচন্দ্ররাজ, আপনার মাথা হতে খুলি লয়ে তাজ পরাইয়া দিল ক্ষীণ বাঙালির শিরে,— ভারে তার মাথাটুকু পড়ে বুঝি ছিড়ে । বহুদিন পরে আজ চিন্তা গেল ছুটে, হাবুডুবু হবু-রাজ্য নড়িচড়ি উঠে । ছেলেরা ধরিল খেলা, বৃদ্ধেরা তামুক, এক দণ্ডে খুলে গেল রমণীর মুখ । দেশজোড়া মাথাধরা ছেড়ে গেল চটু, সবাই বুঝিয়া গেল— হিং টিং ছটু । স্ব প্লমঙ্গলের কথা অমৃতসমান, গোঁড়ানন্দ কবি ভনে, শুনে পুণ্যবান । যে শুনিবে এই স্বপ্নমঙ্গলের কথা, সর্বভ্রম ঘুচে যাবে নহিবে অন্যথা । বিশ্বে কৰ্ভু বিশ্ব ভেবে হবে না ঠকিতে, সত্যেরে সে মিথ্যা বলি’ বুঝিবে চকিতে । যা আছে তা নাই, আর, নাই যাহা আছে, এ-কথা জাজ্বল্যমান হবে তার কাছে । সবাই সরলভাবে দেখিবে যা-কিছু, সে আপন লেজুড় জুড়িবে তার পিছু ।