পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

霸金● রবীন্দ্র-রচনাবলী ब्रांजणको चङाच्छ ब्रांशिग्रा खेटैिग्रा कश्रिजन, “छूभि किङ्कहे जॉन ना ! कठेि भूकि ! তোমার সব চালাকি ৷” আশারই আচরণে ও স্বভাবদোষেই যে মহেন্দ্র গৃহত্যাগী হইয়াছে, এ-মতও রাজলক্ষ্মী তীব্রস্বরে ঘোষণা করিয়া দিলেন। আশা নতমস্তকে সেই ভৎসনা ৰহন করিয়া নিজের ঘরে গিয়া কাদিতে লাগিল । সে মনে মনে ভাবিল, “কেন যে আমাকে আমার স্বামী একদিন ভালোবাসিয়াছিলেন, তাহা আমি জানি না এবং কেমন করিয়া যে তাহার ভালোবাসা ফিরিয়া পাইব, তাহাও আমি বলিতে পারি না।” যে লোক ভালোবাসে, তাহাকে কেমন করিয়া খুশি করিতে হয়, তাহা হৃদয় আপনি বলিয়া দেয় ; কিন্তু যে ভালোবাসে না, তাহার মন কী করিয়া পাইতে হয়, আশা তাহার কী জানে। যে লোক অন্তকে ভালোবাসে, তাহার নিকট হইতে সোহাগ লইতে যাওয়ার মতো এমন নিরতিশয় লজ্জাকর চেষ্টা সে কেমন করিয়া করিবে । সন্ধ্যাকালে বাড়ির দৈৰঞ্জ-ঠাকুর এবং তাহার ভগিনী আচার্ষ-ঠাকরুন আসিয়াছেন । ছেলের গ্রহশাস্তির জন্য রাজলক্ষ্মী ইহাদিগকে ডাকিয়া পাঠাইয়াছিলেন । রাজলক্ষ্মী একবার বউমার কোষ্ঠী এবং হাত দেখিবার জন্য দৈবজ্ঞকে অকুরোধ করিলেন এবং সেই উপলক্ষে আশাকে উপস্থিত করিলেন। পরের কাছে নিজের দুর্ভাগ্য-আলোচনার সংকোচে একান্ত কুষ্ঠিত হইয়া আশা কোনোমতে তাহার হাত বাহির করিয়া বসিয়াছে, এমন সময় রাজলক্ষ্মী তাহার ঘরের পাশ্বস্থ দীপহীন বারান্দা দিয়া মৃদু জুতার শব্দ পাইলেন– কে যেন গোপনে চলিয়া যাইবার চেষ্টা করিতেছে । রাজলক্ষ্মী ডাকিলেন, “কে ও ।” প্রথমে সাড়া পাইলেন না। তাহার পর আবার ডাকিলেন, “কে যায় গো ।” তখন নিরুত্তরে মহেন্দ্র ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল। অাশা খুশি হইবে কি, মহেন্দ্রের লজা দেখিয়া লজ্জায় তাহার হৃদয় ভরিয়া গেল । মহেন্দ্রকে এখন নিজের বাড়িতেও চোরের মতো প্রবেশ করিতে হয় । দৈবজ্ঞ এবং আচার্ধ-ঠাকরুন বসিয়া আছেন বলিয়া তাহার আরও লজ্জা হইল। সমস্ত পৃথিবীর কাছে নিজের স্বামীর জন্ত যে লজ্জা, ইহাই আশার দুঃখের চেয়েও যেন বেশি হইয়া উঠিয়াছে। রাজলক্ষ্মী যখন মৃত্নস্বরে বউকে বলিলেন, “বউমা, পার্বতীকে বলিয়া দাও, মহিনের খাবার গুছাইয়া আনে।” তখন আশা কহিল, “মা, আমিই আনিতেছি ।” বাড়ির দাসদাসীদের দৃষ্টি হইতেও সে মহেক্সকে ঢাকিয়া রাখিতে চায়। এদিকে আচার্ধ ও তাহার ভগিনীকে দেখিয়া মহেন্দ্র মনে মনে অত্যন্ত রাগ করিল। তাছার মাতা ও স্ত্রী দৈবসহায়ে তাহাকে বশ করিবার জন্য এই অশিক্ষিত