পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চোখের বালি । 8°እግ বাসার আত্মসমপণ সমস্তই ছলনা ! সে তাহার গ্রাম ত্যাগ করিয়া নির্লজভাবে মহেঞ্জের সঙ্গে একাকিনী পশ্চিমে চলিয়া গেল । ধিক তাহাকে, এবং ধিক আমাকে যে আমি-মূঢ় তাহাকে এক মুহূর্তের জন্যও বিশ্বাস করিয়াছিলাম।” शग्र ८भघाक्रब्र श्रांषांरक्लद्र नका, शञ्च शङवृष्टि भूभिभांद्र ब्रांजि, cङांभांरभद्र हेअखणि কোথায় গেল । 8し* বিহারী ভাবিতেছিল, দুঃখিনী আশর মুখের দিকে সে চাহিবে কী করিয়া । দেউড়ির মধ্যে যখন সে প্রবেশ করিল, তখন নাথহীন সমস্ত বাড়িটার ঘনীভূত বিষাদ তাহাকে এক মুহুর্তে আবৃত করিয়া ফেলিল । বাড়ির দরোয়ান ও চাকরদের মুখের দিকে চাহিয়া উন্মত্ত নিরুদেশ মহেন্দ্রের জন্য লজ্জায় বিহারীর মাথা নত করিয়া দিল । পরিচিত ভৃত্যদিগকে সে স্নিগ্ধভাবে পূর্বের মতো কুশল জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না । অন্তঃপুরে প্রবেশ করিতে তাহার পা যেন সরিতে চাহিল না। বিশ্বজনের সম্মুখে প্রকাশ্যভাবে মহেন্দ্র অসহায় আশাকে যে দারুণ অপমানের মধ্যে নিক্ষেপ করিয়া গেছে, যে-অপমানে স্ত্রীলোকের চরমতম আবরণটুকু হরণ করিয়া তাহাকে সমস্ত সংসারের সকৌতুহল কৃপাদৃষ্টিবৰ্ষণের মাঝখানে দাড় করাইয়া দেয়, সেই অপমানের অনাবৃত প্রকাশ্বতার মধ্যে বিহারী কুষ্ঠিত ব্যথিত আশাকে দেখিবে কোন প্রাণে । কিন্তু এ-সকল চিস্তার ও সংকোচের আর অবসর রহিল না । অস্তঃপুরে প্রবেশ করিতেই আশা দ্রুতপদে আসিয়া বিহারীকে কহিল, “ঠাকুরপো, একবার শীঘ্ৰ আসিয়া মাকে দেখিয়া যাও, তিনি বড়ো কষ্ট পাইতেছেন ।” বিহারীর সঙ্গে আশার প্রকাশুভাবে এই প্রথম আলাপ । দুঃখের দুদিনে একটিমাত্র সামান্ত ঝটকায় সমস্ত ব্যবধান উড়াইয়া লইয়া যায় ; যাহারা দূরে বাস করিতেছিল তাহাদিগকে হঠাৎ-বন্যায় একটিমাত্র সংকীর্ণ ডাঙার উপরে একত্র করিয়া দেয় । আশার এই সংকোচহীন ব্যাকুলতায় বিহারী আঘাত পাইল । মহেন্দ্র তাহার ংসারটিকে যে কী করিয়া দিয়া গেছে, এই ক্ষুত্র ঘটনা হইতেই তাহা সে যেন অধিক বুঝিতে পারিল । দুর্দিনের তাড়নায় গৃহের যেমন সজ্জা-সৌন্দর্য উপেক্ষিত, গৃহলক্ষ্মীরও · তেমনি লজ্জার ঐটুকু রাখিবারও অবসর ঘুচিয়াছে— ছোটোখাটাে আবরণ-অন্তরাল বাছবিচার সমস্ত খসিয়া পড়িয়া গেছে— তাহাতে আর ভদ্ধক্ষেপ করিবার সময় নাই । বিহারী রাজলক্ষ্মীব্র ঘরে প্রবেশ করিল । রাজলক্ষ্মী একট। আকস্মিক শ্বাসকষ্ট و ساسانیا