পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ 2 e রবীন্দ্র-রচনাবলী ७ई बलिब्रा ब्रांछलकौ अङाख क्लांछ शहैब्रा निखक श्हे८लन । विशद्रौ ७कर्को डरखञ्जरू ঔষধ তাহার মুখের কাছে আনিয়া ধরিতেই রাজলক্ষ্মী হাত সরাইয়া দিয়া কহিলেন, *আর ওষুধ না, বাবা! এখন আমি ভগবানকে স্মরণ করি— তিনি আমাকে আমার সমস্ত সংসারদাহের শেষ ওষুধ দিবেন। মহিন, তোরা একটুখানি বিশ্রাম করগে । বউমা, এইবার রান্না চড়াইয়া দাও।” সন্ধাবেলায় বিহারী এবং মহেন্দ্র রাজলক্ষ্মীর বিছানার সম্মুখে নিচে পাত পাড়িয়া পাইতে বসিল । আশার উপর রাজলক্ষ্মী পরিবেষণের ভার দিয়াছিলেন, সে পরিবেষণ করিতে লাগিল । মহেন্দ্রের বক্ষের মধ্যে অশ্র উদবেলিত হইয়া উঠিতেছিল, তাহার মুখে অন্ন উঠিতেছিল না। রাজলক্ষ্মী তাহাকে বার বার বলিতে লাগিলেন, “মহিন, তুই কিছুই থাইতেছিস না কেন ? ভালো করিয়া খা, আমি দেখি ।” বিহারী কহিল, “জানই তো মা, মহিনদা চিরকাল ওই রকম, কিছুই থাইতে পারে না । বোঠান, ঐ ঘন্টটা আমাকে আর-একটু দিতে হইবে, বড়ো চমৎকার হইয়াছে।” রাজলক্ষ্মী খুশি হইয়া ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “আমি জানি, বিহারী ওই ঘণ্টটী ভালোবাসে । বউমা, ওটুকুতে কী হইবে, আর-একটু বেশি করিয়া দাও।” বিহারী কহিল, “তোমার এই বউটি বড়ো কৃপণ, হাত দিয়া কিছু গলে না ।” রাজলক্ষ্মী হাসিয়া কহিলেন, “দেখো তো বউমা, বিহারী তোমারই কুন খাইয়া তোমারই নিন্দ করিতেছে।” আশা বিহারীর পাতে একরাশ ঘণ্ট দিয়া গেল । বিহারী কহিল, “হায় হায় ! ঘণ্ট দিয়াই আমার পেট ভরাইবে দেখিতেছি, আর ভালো ভালো জিনিস সমস্তই মহিনদার-পাতে পড়িবে।” আশা ফিসফিস করিয়া বলিয়া গেল, “নিন্দুকের মুখ কিছুতেই বন্ধ হয় না।” বিহারী মৃদুস্বরে কহিল, “মিষ্টান্ন দিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখো, বন্ধ হয় কি না।” দুই বন্ধুর আহার হইয়া গেলে, রাজলক্ষ্মী অত্যস্ত তৃপ্তিবোধ করিলেন । কহিলেন, “বউম, তুমি শীঘ্ৰ খাইয়া এসে " | রাজলক্ষ্মীর আদেশে আশা খাইতে গেলে তিনি মহেন্দ্রকে কছিলেন, “भश्नि, छूहे শুইতে ষা ।” _ মহেন্দ্ৰ কহিল, “এখনই শুইতে যাইব কেন ?" মহেন্দ্র রাত্রে মাতার সেবা করিবে স্থির করিয়াছিল। রাজলক্ষ্মী কোনোমতেই তাহা ঘটিতে দিলেন না। কহিলেন, “তুই ভ্রান্ত আছিল মহিন, তুই শুইতে যা।"