পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

é२१ ब्ररौठा-ब्रछनांबलौ । দিয়াছে, সকলকে কর্তব্যপথে সংযত করিয়া শৈথিল্য ও অধঃপতন হইতে টানিয়া রাখিয়াছে । রেন। দেখাইয়াছেন, নেশনের মূল লক্ষণ কী, তাহ বাহির করা শক্ত। জাতির ঐক্য, ভাষার ঐক্য, ধর্মের ঐক্য, দেশের ভূসংস্থান, এ-সকলের উপরে ন্যাশনালজের একান্ত নির্ভর নহে। তেমনি হিন্দুত্বের মূল কোথায়, তাহ নির্ণয় করিয়া বলা শক্ত । নানা জাতি, নানা ভাষা, নানা ধর্ম, নানাপ্রকার বিরুদ্ধ আচার-বিচার হিন্দুসমাজের भएथा इोन श्रोड़ेब्रएछ । পরিধি যত বৃহৎ, তাহার কেন্দ্র খুজিয়া পাওয়া ততই শক্ত। হিন্দুসমাজের ঐক্যের ক্ষেত্র নিরতিশয় বৃহৎ, সেইজন্য এত বিশালত্ব ও বৈচিত্র্যের মধ্যে তাহার মূল আশ্রয়টি বাহির করা সহজ নহে। এ-স্থলে আমাদের প্রশ্ন এই, আমরা প্রধানত কোন দিকে মন দিব ? ঐক্যের কোন আদর্শকে প্রাধান্ত দিব। s রাষ্ট্রনীতিক ঐক্যচেষ্টাকে উপেক্ষা করিতে পারি না। কারণ, মিলন মৃত প্রকারে হয় ততই ভালো । কনগ্রেসের সভায় র্যাহারা উপস্থিত হইয়াছেন, তাহারা ইহা অনুভব করিয়াছেন যে, সমস্তই যদি ব্যর্থ হয়, তথাপি মিলনই কনগ্রেসের চরম ফল । এই মিলনকে যদি রক্ষা করিয়া চলি, তবে মিলনের উপলক্ষ্য বিফল হইলেও, ইহা নিজেকে কোনো না কোনো দিকে সার্থক করিবেই, দেশের পক্ষে কোনটা মুখ্য ব্যাপার, তাহা আবিষ্কার করিবেই— যাহা বৃথা এবং ক্ষণিক, তাহা আপনি পরিহার করিবে । কিন্তু এ-কথা আমাদিগকে বুঝিতে হইবে, আমাদের দেশে সমাজ সকলের বড়ে । অন্য দেশে নেশন নানা বিপ্লবের মধ্যে আত্মরক্ষা করিয়া জয়ী হইয়াছে— আমাদের দেশে তদপেক্ষ দীর্ঘকাল সমাজ নিজেকে সকলপ্রকার সংকটের মধ্যে রক্ষা করিয়াছে। আমরা যে হাজার বৎসরের বিপ্লবে, উৎপীড়নে, পরাধীনতায়, অধঃপতনের শেষ সীমায় তলাইয়া ৰাই নাই, এখনো যে আমাদের নিম্নশ্রেণীর মধ্যে সাধুতা ও ভদ্রমণ্ডলীর মধ্যে মকুন্তুত্বের উপকরণ রহিয়াছে, আমাদের আহারে সংঘম এবং ব্যবহারে শীলতা প্রকাশ পাইতেছে, এখনো যে আমরা পদে পদে ত্যাগ স্বীকার করিতেছি, বহুদুঃখের ধনকে সকলের সঙ্গে ভাগ করিয়া ভোগ করাই শ্রেয় বলিয়া জানিতেছি, সাহেবের ৰেহারা সাত টাকা বেতনের তিন টাকা পেটে খাইরা চার টাকা বাড়ি পাঠাইতেছে, পনেরো টাকা বেতনের মুহুরি নিজে আধমরা হইয়া ছোটো ভাইকে কলেজে পড়াইতেছে —লে কেবল আমাদের প্রাচীন সমাজের জোরে । এ সমাজ আমাদিগকে স্নখকে