পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎿᏖr গান্ধারী । রবীন্দ্র-রচনাবলী অনাথিনী পাঞ্চালীর আর্তকণ্ঠরব প্ৰাসাদপাষাণভিত্তি করি দিল দ্রব লজা-ঘূণা-করুণার তাপে, ছুটি গিয়া হেরিনু গবাক্ষে, তার বস্ত্ৰ আকৰ্ষিয়া গান্ধারীর পুত্র পিশাচেরা— ধর্ম জানে সেদিন চুণিয়া গেল জন্মের মতন জননীর শেষ গর্ব । কুরুরাজগণ, পৌরুষ কোথায় গেছে ছাড়িয়া ভারত ! তোমরা, হে মহারথী, জড়মূর্তিবৎ বসিয়া রহিলে সেথ চাহি মুখে মুখে, কেহ বা হাসিলে, কেহ করিলে কৌতুকে কানাকানি— কোষমাঝে নিশ্চল কৃপাণ বাজনিঃশেষিত লুপ্তবিদ্যুৎ-সমান নিদ্রাগত— মহারাজ, শুন মহারাজ, এ মিনতি । দূর করো জননীর লাজ, বীর্যধর্ম করাহ উদ্ধার, পদাহিত সতীত্বের ঘুচাও ক্ৰন্দন ; অবনত ন্যায়ধ্যমে করাহ সম্মান- ত্যাগ করো দুৰ্যোধনে । পরিতাপদহনে জর্জর হৃদয়ে করিছ। শুধু নিম্বফল আঘাত হে মহিষী ! শতগুণ বেদনা কি, নাথ, লাগিছে না মোরে ? প্ৰভু, দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা বঁকাদে যাবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার । যার তরে প্রাণ কোনো ব্যথা নাহি পায় তারে দণ্ডদান প্ৰবলের অত্যাচার । যে দণ্ডবেদনা পুত্রেীরে পার না দিতে সে কারে দিয়ে না ; যে তোমার পুত্র নহে তারো পিতা আছে, মহা-অপরাধী হবে তুমি তার কাছে বিচারক । শুনিয়াছি বিশ্ববিধাতার সবাই সন্তান মোরা— পুত্রের বিচার নিয়ত করেন। তিনি আপনার হাতে নারায়ণ ; ব্যথা দেন, ব্যথা পান সাথে ; নতুবা বিচারে তার নাই অধিকার, এই শাস্ত্র । পাপী পুত্রে ক্ষমা কর যদি নিবিচারে, মহারাজ, তবে নিরবধি যত দণ্ড দিলে তুমি যত দোষীজনে,