পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো । কল্যাণী । ক্ষীরো । কাহিনী সে দোষ তেরি । চাকর দাসী কি টিকিতে পারে তোমার প্রখর মুখের ধারে ? লোক এলে তুই তাড়াবি তাদের, লোক গেলে শেষে আর্তনাদের ধুম পড়ে যাবে- এর কি পথ্যি আছে কোনোরাপ ! সে কথা সত্যি । সয় না। আমার— তাড়াই সাধে ? অন্যায় দেখে পরান কাদে । কোথা থেকে যত ডাকাত জোটে, টাকাকড়ি সব দু হাতে লোটে । আমি না। তাদের তাড়াই যদি তোমারে তাড়াত আমারে বধি । ডাকাত মাধবী, ডাকাত মাধু, সবাই ডাকাত, তুমিই সাধু ! আমি সাধু ! মা গো, এমন মিথ্যে মুখেও আনি নে, ভাবি নে চিত্তে । নিই-থুই খাই দু হাত ভরি, দু। বেলা তোমায় আশিস করি— কিন্তু তবু সে দু হাত —”পরে দু-মুঠোর বেশি। কতই ধরে । ঘরে যত আনো মানুষ-জনকে তত বেড়ে যায় হাতের সংখ্যে । হাত যে সৃজন করেছে বিধি নেবার জন্যে, জান তো দিদি ! পাড়াপড়শির দৃষ্টি থেকে কিছু আপনার রাখো তো ঢেকে, চাকর-বাকর আনিয়ো ডাকি । একা বটে তুমি ! তোমার সাথি ভাইপো ভাইঝি নাতনী নাতিহাট বসে গেছে সোনার চাদের, দুটাে করে হাত নেই কি তাদের ? তোর কথা শুনে কথা না। সরে, হাসি পায় ফের রাগও ধরে । বেশি রেগে যদি কম হাসি পেত স্বভাব আমার শুধরিয়ে যেত । ম’লেও যাবে না। স্বভাবখানি নিশ্চয় জেনো । সে কথা মানি । Տ Տ Գ