পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ণ । কৰ্ণ । কাহিনী তোমারে বসাব মোর সর্বপুত্ৰ-আগে, বঞ্চিত হয়েছে যারা মাতৃস্নেহধনে তাহাদের পূর্ণ অংশ খণ্ডিব কেমনে কহাে মোরে। দৃতপণে না হয় বিক্রয়, বাহুবলে নাহি হারে মাতার হৃদয়সে যে বিধাতার দান । পুত্র মোর, ওরে, বিধাতার অধিকার লয়ে এই ক্ৰোড়ে এসেছিলি একদিন- সেই অধিকারে আয় ফিরে সগৌরবে, আয় নির্বিচারেসকল ভ্রাতার মাঝে মাতৃ-অঙ্কে ম্যম লহাে আপনার স্থান । শুনি স্বপ্নসম, হে দেবী, তোমার বাণী । হেরো, অন্ধকার ব্যাপিয়াছে দিগবিদিকে, লুপ্ত চারি ধারশব্দহীনা ভাগীরথী । গেছ মোরে লয়ে চেতনাপ্ৰত্যুষে । পুরাতন সত্যসম তব বাণী স্পর্শিতেছে মুগ্ধচিত্ত মম | অস্ফুট শৈশবকাল যেন রে আমার, যেন মোর জননীর গর্ভের আঁধার আমারে ঘেরিছে আজি । রাজমাতঃ অয়ি, সত্য হােক, স্বপ্ন হােক, এসো স্নেহময়ী তোমার দক্ষিণ হস্ত ললাটে চিবুকে রাখো ক্ষণকাল । শুনিয়াছি লোকমুখে জননীর পরিত্যক্ত আমি । কতবার হেরেছি। নিশীথস্বপ্নে জননী আমার এসেছেন। ধীরে ধীরে দেখিতে আমায়, কাদিয়া কহোঁছি তারে কাতর ব্যথায় ‘জননী, গুণ্ঠন খোলো, দেখি তব মুখ”— অমনি মিলায় মূর্তি তৃষাের্ত উৎসুক স্বপনেরে ছিন্ন করি । সেই স্বপ্ন আজি এসেছে কি পাণ্ডবজননীরূপে সাজি সন্ধ্যাকালে, রণক্ষেত্রে, ভাগীরথীতীরে ! হেরো দেবী, পরপারে পাণ্ডবশিবিরে জ্বলিয়াছে দীপালোক, এ পারে অদূরে কৌরবের মন্দুরায় লক্ষ অশ্বখুরে খর শব্দ উঠিছে বাজিয়া । কালি প্ৰাতে Տ8Գ