পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S VO রবীন্দ্র-রচনাবলী দিদিমা । সে কী কথা ! আর দুটাে খাও । আরো দুটাে কিল তিনকড়ি | (গাত্ৰোখান করিয়া) আজ্ঞে না । আর আবশ্যক নেই। পরদিন তিনকড়ি শয্যাগত | পাশে বনমালী তিনকড়ি । (ক্ষীণকণ্ঠে) ভুতুবাবু, তোমার বাবা কোথায় হে ? বনমালী । বদ্যি ডাকতে গেছে। তিনকড়ি । (কাতর স্বরে) আর বদ্যি ডেকে কী হবে! ওষুধ খাব যে তার জায়গা কোথায় ? বনমালী। তোমার পেটে কী হয়েছে তিনকড়িদা ? তিনকড়ি । যাই হােক গে, কাল তোমাকে যা শিখিয়েছিলুম মনে আছে কি ? বনমালী ৷ আছে । তিনকড়ি । কী বলে দেখি | বনমালী । পেটে খেলে পিঠে সয় । তিনকড়ি । আজ আর-একটা শেখাব | কথাটা মনে রেখো— “পিঠে খেলে পেটে সয় না । )는 অভ্যর্থনা প্রথম দৃশ্য 37 어 চতুর্ভূজবাবু এম.এ.পাস করিয়া গ্রামে আসিয়াছেন ; মনে করিয়াছেন গ্রামে হুলস্থূল পড়িবে। সঙ্গে একটা মােটাসোটা কাবুলি বিড়াল আছে নীলরতনের প্রবেশ নীলরতন । এই যে চতুবাবু, কবে আসা হ’ল ? চতুৰ্ভুজ। কলেজে এম. এ. একজামিন দিয়েই— নীলরতন । বা বা, এ বেড়ালটি তো বড়ো সরেস । চতুৰ্ভুজ। এবারকার একজামিনেশন ভারি— নীলরতন । মশায়, বেড়ালটি কোথায় পেলেন ? চতুৰ্ভুজ। কিনেছি। এবারে যে সবজেক্ট নিয়েছিলুম— নীলরতন । কত দাম লেগেছে মশায় ? চতুর্ভুজ। মনে নেই। নীলরতনবাবু, আমাদের গ্রামের থেকে কেউ কি পাস হয়েছে ? নীলরতন । বিস্তর। কিন্তু এমন বেড়াল এ মুল্পকে নেই। চতুৰ্ভুজ। (স্বগত) আ মোলো, এ যে কেবল বেড়ালের কথাই বলে— আমি যে পাস করে এলুম (न क९ों (श उाद (ऊ(ल की |