পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৪

Sqo S SE STOS) Sa o Q.bJ& S \S) o SR QS Cb4 రిOS রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ব্ৰাহ্মণের তপোবন অদূরে তাহার, নির্বক গভীর শান্ত সংযত উদার । হেথা মত্ত স্ফীতস্ফুর্ত ক্ষত্রিয়গরিমা, হেথা স্তব্ধ মহামৌন ব্ৰাহ্মণমহিমা । ঋতুসংহার হে কবীন্দ্ৰ কালিদাস, কল্পকুঞ্জবনে নিভৃতে বসিয়া আছ প্ৰেয়সীর সনে যৌবনের যৌবরাজ্যসিংহাসন-’পরে । রয়েছে সমস্ত ধরা, সমস্ত গগন স্বৰ্ণরাজছত্ৰ উর্ধেব করেছে। ধারণ শুধু তোমাদের পরে । ছয় সেবাদাসী নব নব পাত্ৰ ভরি ঢালি দেয়। তারা নব নব বর্ণময়ী মন্দিরার ধারা তোমাদের তৃষিত যৌবনে ; ত্ৰিভুবন একখানি অন্তঃপুর, বাসরতভবন । নাই দুঃখ, নাই দৈন্য, নাই জনপ্ৰাণী— তুমি শুধু আছে রাজা, আছে তব রানী । মেঘদূত নিমেষে টুটিয়া গেল সে মহাপ্ৰতাপ । উধর্ব হতে একদিন দেবতার শাপ । পশিল সে সুখরাজ্যে, বিচ্ছেদের শিখা করিয়া বহন ; মিলনের মরীচিকা, যৌবনের বিশ্বগ্রাসী মত্ত অহমিকা মুকুর্তে মিলায়ে গেল মায়াকুহেলিকা খররৌদ্র করে । ছয় ঋতু সহচরী সহসা তুলিয়া দিল রঙ্গযবনিকা— সহসা খুলিয়া গেল, যেন চিত্রে লিখা, আষাঢ়ের অশ্রুগ্নত সুন্দর ভুবন । দেখা দিল চারি দিকে পর্বত কানন নগর নগরী গ্ৰাম— বিশ্বসভামাঝে তোমার বিরাহবীণা সকরুণ বাজে ।