পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રક્ષના রবীন্দ্র-রচনাবলী সন্ন্যাসী। আমার হাতে দাও বাবা । তুমি ভাবছ এই তোমার বহুমূল্য তিন কার্বাপণ আমি লক্ষেশ্বরের হাতে ঋণশোধের জন্ত দেব ? এ আমি নিজে নিলেম । আমি এখানে শারদার উৎসব করেছি এ আমার তারই দক্ষিণ। কী বল বাবা । উপনন্দ । ঠাকুর তুমি নেবে ? সন্ন্যাসী। নেব বই কি। তুমি ভাবছ সন্ন্যাসী হয়েছি বলেই আমার কিছুতে লোভ নেই ? এ-সব জিনিসে আমার ভারি লোভ। লক্ষেশ্বর। সর্বনাশ ! তবেই হয়েছে। ডাইনের হাতে পুত্র সমর্পণ করে বসে আছি দেখছি । 尊 সন্ন্যাসী । ওগো শ্রেষ্ঠী । শ্ৰেষ্ঠী। আদেশ করুন । সন্ন্যাসী । এই লোকটিকে হাজার কার্বাপণ গুনে দাও । শ্রেষ্ঠী। ষে আদেশ । উপনন্দ। তবে ইনিই কি আমাকে কিনে নিলেন ? সন্ন্যাসী । উনি তোমাকে কিনে নেন ওঁর এমন সাধ্য কী। তুমি আমার। উপনন্দ । ( পা জড়াইয়া ধরিয়া ) আমি কোন পুণ্য কুরেছিলেম ষে আমার এমন ভাগ্য হল । সন্ন্যাসী। ওগো সুভূতি । মন্ত্রী। আজ্ঞা । সন্ন্যাসী। আমার পুত্র নেই বলে তোমরা সর্বদা আক্ষেপ করতে । এবারে সন্ন্যাসধর্মের জোরে এই পুত্রটি লাভ করেছি। লক্ষেশ্বর। হায় হায় আমার বয়স বেশি হয়ে গেছে বলে কী সুযোগটাই পেরিয়ে গেল । মন্ত্রী । বড়ো আনন্দ । তা ইনি কোন রাজগৃহে— সন্ন্যাসী। ইনি ষে-গৃহে জন্মেছেন সে গৃহেজগতের অনেক বড়ো বড়ো বীর জন্মগ্রহণ করেছেন—পুরাণ ইতিহাস খুজে সে আমি তোমাকে পরে দেখিয়ে দেব। লক্ষেশ্বর। লক্ষেশ্বর। কী আদেশ । সন্ন্যাসী। বিজয়াদিত্যের হাত থেকে তোমার মণিমাণিক্য আমি রক্ষা করেছি এই তোমাকে ফিরে দিলেম । * h লক্ষেশ্বর। মহারাজ, যদি গোপনে ফিরিয়ে দিতেন তাহলেই যথার্থ রক্ষা করতেন, এখন রক্ষণ করে কে ?