পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐअंcब्ञांश 樹 R&ఏ সন্ন্যাসী। এখন বিজয়াদিত্য স্বয়ং রক্ষা করবেন, তোমার ভয় নেই। কিন্তু তোমার কাছে আমার কিছু প্রাপ্য আছে। লক্ষেশ্বর । সর্বনাশ করলে । সন্ন্যাসী । ঠাকুরদা সাক্ষী আছেন । লক্ষেশ্বর। এখন সকলেই মিথ্যে সাক্ষ্য দেবে। সন্ন্যাসী। আমাকে ভিক্ষা দিতে চেয়েছিলে। তোমার কাছে এক মুঠে চাল পাওনা আছে। রাজার মুষ্টি কি ভরাতে পারবে ? * লক্ষেশ্বর। মহারাজ, আমি সন্ন্যাসীর মুষ্টি দেখেই কথাটা পেড়েছিলেম। সন্ন্যাসী। তবে তোমার ভয় নেই, যাও। লক্ষেশ্বর। মহারাজ, ইচ্ছে করেন যদি তবে এইবার কিছু উপদেশ দিতে পারেন। সন্ন্যাসী । এখনও দেরি আছে । 率 লক্ষেশ্বর। তবে প্রণাম হই । চারদিকে সকলেই কোঁটোটার দিকে বডড তাকাচ্ছে । [ প্রস্থান সন্ন্যাসী। রাজা সোমপাল, তোমার কাছে আমার একটি প্রার্থন আছে । সোমপাল। সে কী কথা ! সমস্তই মহারাজের, যে আদেশ করবেন,— সন্ন্যাসী । তোমার রাজ্য থেকে আমি একটি বন্দী নিয়ে যেতে চাই । সোমপাল। যাকে ইচ্ছা নাম করুন সৈন্ত পাঠিয়ে দিচ্ছি। না হয় আমি নিজেই যাব । সন্ন্যাসী। বেশি দূরে পাঠাতে হবে না । ( ঠাকুরদাদাকে দেখাইয়া) তোমার এই প্রজাটিকে চাই । সোমপাল। কেবল মাত্র একে ! মহারাজ যদি ইচ্ছা করেন তবে আমার রাজ্যে যে শ্রুতিধর স্মৃতিভূষণ আছেন তাকে আপনার সভায় নিয়ে যেতে পারেন। সন্ন্যাসী। না, অত বড়ো লোককে নিয়ে আমার সুবিধা হবে না আমি একেই চাই। আমার প্রাসাদে অনেক জিনিস আছে কেবল বয়স্ত নেই। ঠাকুরদাদা। বয়সে মিলবে না প্রভু, গুণেও না ; তবে কিনা ভক্তি দিয়ে সমস্ত অমিল ভরিয়ে তুলতে পারব এই ভরসা আছে। । সন্ন্যাসী । ঠাকুরদা, সময় খারাপ হলে বন্ধুরা পালায় তাই তো দেখছি। আমার উৎসবের বন্ধুরা এখন সব কোথায়? রাজারের গন্ধ পেয়েই দৌড় দিয়েছে না কি। ঠাকুরদাদা। কারও পালাবার পথ কি রেখেছ ? আটৰাট ঘিরে ফেলেছ ষে। ওই আসছে।