পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՊԵ রবীন্দ্র-রচনাবলী “किसु–” “এর মধ্যে কিন্তু কিছুই নেই—তুমি কিছুতেই নিষ্কৃতি পাবে না।” “আমি তো আপনাদের কোনো কাজে লাগি নে, সে আপনি জানেন ।” “তোমার কাছ থেকে কাজ চাই নে, কাজের কথা সব জানাইও নে তোমাকে । , কেমন করে তুমি নিজে বুঝবে তোমার হাতের রক্তচন্দনের ফোট ছেলেদের মনে কী আগুন জালিয়ে দেয়। সেটুকু বাদ দিয়ে কেবল শুখো মাইনেয় কাজ করাতে গেলে পুরো কাজ পাব না। আমরা কামিনীকাঞ্চনত্যাগী নই। যেখানে কাঞ্চনের প্রভাব সেখানে কাঞ্চনকে অবজ্ঞা করি নে, যেখানে কামিনীর প্রভাব সেখানে কামিনীকে বেদীতে বসিয়েছি।” க்க “আপনার কাছে মিথ্যে বলব না, বুঝতে পারছি আমার ভালোবাসা দিনে দিনেই • আমার অন্য সকল ভালোবাসাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।” “কোনো ভয় নেই, খুব ভালোবাসে। শুধু মা মা স্বরে দেশকে যার ডাকাডাকি করে, তারা চিরশিশু। দেশ বৃদ্ধ শিশুদের মা নয়, দেশ অর্ধনারীশ্বর—মেয়ে-পুরুষের মিলনে তার উপলব্ধি । এই মিলনকে নিস্তেজ ক'রো না সংসার-পি জরেয় বেঁধে ।” “কিন্তু তবে আপনি ষে ওই উমা—” “উমা ! কালু!—ভালোবাসার শুষ্ক রুদ্ররূপ ওরা সইতে পারবে কী করে ? যে দাম্পত্যের ঘাটে ওদের সকল সাধনার অস্ত্যেষ্টিসংকার, সময় থাকতে সেখানেই দুজনকে গঙ্গাযাত্রায় পাঠাচ্ছি —সে-কথা থাক্ । শোনা গেল তোমার ঘরে ডাকাত ঢুকেছিল পরশু রাত্রে ।” “হা, ঢুকেছিল।” “তোমার জুজুৎসু শিক্ষায় ফল পেয়েছিলে কি ?” “আমার বিশ্বাস ডাকাতের কবজি দিয়েছি ভেঙে ।” “মনটার ভিতর আহা উন্থ করে ওঠে নি ?” “করত কিন্তু ভয় ছিল ও আমাকে অপমান করবে। ও যদি যন্ত্রণায় হার মানত আমি শেষ পর্যন্ত মোচড় দিতে পারতুম না।” “চিনতে পেরেছিলে সে কে ?” “অন্ধকারে দেখতে পাই নি।” “যদি পেতে তাহলে জানতে, সে অনাদি ।” “আহা সে কী কথা । আমাদের অনাদি । সে যে ছেলেমান্থন্তু * , “আমিই তাকে পাঠিয়েছিলুম।”