পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার অধ্যায় & ·GOL ছোটো একটা করাত হাতে দোলাতে দোলাতে অখিল এসে বললে, “চিঠি ” ওর অসমাপ্ত স্বষ্টিকাজের মাঝখানে থেকে উঠে এসেছে। “তোমার দিদিমণির ?” 藝 ৭ “না আপনার । আপনারই হাতে দিতে বললে ।” “কে f" “চিনি নে।” বলেই চিঠিখানা দিয়ে চলে গেল। চিঠির কাগজের লাল রং দেখেই অতীন বুঝলে, এটা ডেনজর সিগন্তাল। গোপন ভাষায় লেখা চিঠি খড়ে দেখলে— এলার বাড়িতে আর নয়, তাকে কিছু না জানিয়ে এই মুহূর্তে চলে এসে * কর্মের যে-শাসন স্বীকার করে নিয়েছে তাকে অসম্মান করাকে অতীন আত্মসম্মানের বিরুদ্ধ বলেই জানে। চিঠিখানা যথারীতি কুটকুটি করে ছিড়ে ফেললে। মুহূর্তের জন্য স্তন্ধ হয়ে দাড়াল রুদ্ধ নাবার ঘরের বাইরে। পরক্ষণে দ্রুতবেগে গেল বেরিয়ে । রাস্তায় দাড়িয়ে একবার দোতলার দিকে তাকালে। জানল খোলা, বাইরে থেকে দেখা যায় আরামকেদারার একটা অংশ, আর তার সঙ্গে সংলগ্ন লালেতে হলদেতে ডোরা-কাট চোঁকে বালিশের এক কোণ । লাফ দিয়ে অতীন চলতি ট্রাম গাড়িতে চড়ে বসল।