পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী و هوایی বলে সেক্টমেন্টাল, মনে ঠিক করে রেখেছিল সংকটের সময় প্রমাণ হৰে আমি ভিজে মাটিতেই তৈরি। ওরা ভাবতেই পারে না সেন্টিমেন্টেই আমার অমোঘশক্তি।” “মাস্টারমশায়ও তা জানেন ।” “এলী, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে এই ভূতুড়ে পাড়া স্বষ্টি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত. কোনো বাঙালি ভদ্রমহিলা এই জায়গাটার স্বরূপ নির্ধারণ করে নি।” “তার কারণ, বাংলাদেশের কোনো ভদ্রমহিলার অদৃষ্ট্রে এতবড়ো গরজ এমন দুঃসহ হয়ে কোনোদিন প্রকাশ পায় নি।” “কিন্তু এলী, আজ তুমি যে কাজ করলে সেটা অবৈধ।” 总 “জানি সে-কথা, মানব আমার দুর্বলতা, তবু ভাঙব নিয়ম, শুধু নিজের হয়ে না, তোমার হয়েও । প্রতিদিন আমার মন বলেছে তুমি ডাকছ আমাকে । সাড়া দিতে পারি নে বলে যে প্রাণ হাপিয়ে ওঠে । বলে, আমি এসেছি বলে খুশি হয়েছ ।” "এত খুশি হয়েছি যে তা প্রমাণ করবার জন্তে বিপদ স্বীকার করতে রাজি আছি।” *ন না, তোমার কেন হবে বিপদ । যা হয় তা আমার হ’ক । তাহলে আমি शाहे अख् ।” “কিছুতেই না । তুমি নিয়ম ভেঙে চলে এসেছ, আমি নিয়ম ভেঙে তোমাকে ধরে রাখব। দুজনে মিলে অপরাধ সমান করে নেওয়া যাক। নতুন বিস্ময়ের বসন্তী রঙে একদিন দেখেছিলুম তোমার ওই মুখ, সে আজ যুগান্তরে পিছিয়ে গেছে। আজ সেই দিনটিকে আবাহন করা যাক এই পড়ে ঘরটার মধ্যে। এস, আরও কাছে।” “রসো, ঘরটা একটুখানি গুছিয়ে নেবার চেষ্টা করি।” © *হায় রে, টাকের মাথায় চিরুনি চালাবার চেষ্টা !”a/ এলা একবার চারিদিক ঘুরে দেখলে। মেঝের উপর কম্বল, তার উপর চাটাই । বালিশের বদলে বই দিয়ে ভরা একটা পুরোনো ক্যাম্বিসের থলি। লেখাপড় করবার জন্তে একখানা প্যাকবাক্স। কোণে জলের কলসী মাটির ভাড় দিয়ে ঢাকা । জীর্ণ চাঙারিতে একছড়া কলা, তার মধ্যে এনামেল-উঠে-যাওয়া একখানা বাটি, দৈবাৎ সুযোগ ঘটলে চা খাওয়া চলে। ঘরের অন্য প্রাস্তে একটা বড়ো চওড়া সিন্দুক, তার উপরে গণেশের একটি মাটির মূর্তি। তার থেকে প্রমাণ হয় এখানে অতীনের কোনো এক দোসর আছে। এক থাম থেকে আর-এক ধাম পর্যন্ত দড়ি খাটানো, তাতে নানা রঙের ছোপ-লাগা অনেকগুলো ময়লা গামছা । স্যাতসেতে ঘরে শ্বাসরুদ্ধ আকাশের বাষ্পঘন গন্ধ । ঠিক এমন না হ’ক এই জাতের দৃপ্ত এগা দেখেছে মাঝে মাঝে। কখনো বিশেষ দুঃখ পায় নি, বরঞ্চ ত্যাগবীর ছেলেদেরকে মনে মনে বাহাদুরি দিয়েছে। একদা এক