পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার অধ্যায় లి “অঙ্ক, দোহাই তোমার, আর বাজে বকুনি ব’কে না ! তোমার জীবিক। আমিই ভাসিয়ে দিয়েছি এ দুঃখ কখনো ভুলতে পারব না। দেখতে পাচ্ছি তোমার জীবনের भ्रूण प्णष्झ् झिल्ल श्टग्र ।” - “এতক্ষণে সেই মেয়ের প্রকাশ হল, ষে-মেয়েটি রিয়ল। একটুতেই ধরা পড়ে দেশোদ্ধারের রঙ্গমঞ্চে তুমি রোম্যাটিক । ষে-সংসারে র্কাসার থালায় দুধভাত মাছের মুড়ো তারই কেন্দ্রে বসে আছ তালপাতার পাখা হাতে। যেখানে পোলিটিক্যাল ঠাঙার গুতি সেখানে আলুখালু চুলে চোখদুটো পাকিয়ে এসে পড় অপ্রকৃতিস্থতার ফোকে,সহজবুদ্ধি নিয়ে নয়।” "এত কথাও বলতে পার, অস্তু, মেয়েমানুষও তোমার কাছে হার মানে ৷” “মেয়েমানুষ কথা বলতে পারে নাকি ! তার তো শুধু বকে। কথার টর্নেডো দিয়ে সনাতন মূঢ়তার ভিত ভাঙব বলে একদিন মনের মধ্যে ঝ'ড়ে মেঘ জমে উঠেছিল। সেই মূঢ়তার উপরেই তোমাদের জয়স্তম্ভ গাখতে বেরিয়েছ কেবল গায়ের জোরে ।” “তোমার পায়ে পড়ি আমাকে বুঝিয়ে দাও আমার ভূলে তুমি ভুল কেন করলে ? কেন নিলে জীবিকাবর্জনের দুঃখ ?” “ওটা আমার ব্যঞ্জনা, ইংরেজিতে যাকে বলে জেসচার। ওটা আমার নিদেনকালের ভাষা। যদি দুঃখ না মানতুম তাহলে মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে, কিছুতে বুঝতে না তোমাকে কতখানি ভালোবেসেছি। সেই কথাটা উড়িয়ে দিয়ে ব’লো না ওটা দেশকে ভালোবাসা ।” 骨 “দেশ এর মধ্যে নেই অস্তু ?” .rr; “দেশের সাধন। আর তোমার সাধনা এক হয়েছে বলেই দেশ এর মধ্যে আছে। একদিন বীর্ষের জোরে যোগ্যতা দেখিয়ে পেতে হত মেয়েকে। আজ সেই মরণপণের সুযোগ পেয়েছি। সে-কথাটা ভুলে , মান্ত আমার জীবিকার অভাব নিয়ে তোমার ব্যথা লেগেছে অন্নপূর্ণ ” “আমরা মেয়ের সাংসারিক । সংসারে অকুলোন সইতে পারি নে। আমার একটা কথা তোমাকে রাখতেই হবে। আমার আছে পৈতৃক বাড়ি, আরও আছে কিছু জমা টাকা। দোহাই তোমার, বার বার দোহাই দিচ্ছি, কথা রাখে, আমার কাছে টাকা নিতে সংকোচ ক’রে না । জানি তোমার খুবই দরকার।” “খুবই দরকার পড়লে ম্যাটরিকুলেশনের নোটৰই লেখা থেকে আরম্ভ করে কুলিগিরি পর্যন্ত খোলা রয়েছে।” 町

  • আমি মানছি, অন্ত, আমার সমস্ত জমা টাকা দেশের কাজে এতদিনে খরচ করে