পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

:: छांब चथाॉब 离 లిలి নিজের মাথা হেলিয়ে রাখলে। কখনো কখনো আন্তে আস্তে চুলের মধ্যে আঙুল বুলিয়ে দিতে লাগল। কিছুক্ষণ পরে অতীন মাথা তুলে বসে এলার হাত চেপে ধরলে। বললে, “ষে-দিন মোকামায় খেয়াজাহাজে চড়েছিলুম সেদিন ভাগ্যদেবী পিতামহী অদৃপ্ত স্থাতে কান মলে দিয়ে গেলেন তা বুঝতে পারি নি। তার অনতিকাল পর থেকেই মনটা কেবল আকাশকুসুম চয়ন করে বেড়াচ্ছে স্থতির আকাশে । সেদিনের কথা তোমার কাছে পুরোনো হয়েছে কি ?” “একটুও না ।” " “তাহলে শোনো । ভারি মাল নিচের ডেক থেকে গাড়িতে নিয়ে গেছে আমার বিহারী চাকরট । কাছে ছিল ছোটো একটা চামড়ার কেস—এদিক ওদিকে তাকাচ্ছি কুলির অপেক্ষায়। নেহাত ভালোমাঙ্গুষের মতে হঠাং কাছে এসে বললে, কুলি চান ? দরকার কী ! আমি নিচ্ছি।—হঁ। ই করেন কী, করেন কী বলতে বলতেই সেটা তুলে ফেললে । আমার বিপত্তি দেখে যেন পুনশ্চ নিবেদনে বললে, সংকোচ বোধ করেন তো এক কাজ করুন, আমার বান্ধটা ওই আছে তুলে নিন, পরস্পর ঋণ শোধ হয়ে যাবে – তুলতে হল । আমার কেসের চেয়ে সাতগুণ ভারি । হাতলট ধরে ভান হাতে বঁ হাতে বদল করতে করতে টলতে টলতে রেলগাড়ির থার্ডক্লাস কামরায় টেনে তুললেম । তখন সিদ্ধের জামা ৰামে ভিজে, নিশ্বাস ক্রত, নিস্তন্ধ অট্টহাস্ত তোমার মুখে। হয়তো বা করুণ কোনো একটা জায়গায় লুকোনো ছিল, সেটা প্রকাশ করা অকর্তব্য মনে করেছিলে । সেদিন আমাকে মানুষ করবার মহং দায়িত্ব ছিল তোমারই হাতে।” “ছী ছী, ব’লে না, ব’লে না, মনে করতে লজ্জা বোধ হয়। কী ছিলুম তখন, কী বোকা, কী অস্তুত ! তখন তুমি হাসি চেপে রাখতে বলেই আমার স্পর্ধ বেড়ে গিয়েছিল। “সহ করেছিলে কী করে ? মেয়েদের কি বুদ্ধি থাকবার কোনো দরকার নেই ?” “থাক বা না থাক তাতে তো কিছু আসে যায় নি। সেদিন ষে-পরিবেষের মধ্যে আমার কাছে দেখা দিয়েছিলে সে তো হায়ার ম্যাথম্যাটিক্স নয়, লজিক নয় । সেট যাকে বলে মোহ । শংকরাচার্ধের মতো মহামন্ত্রও যার উপর মুগেরপাত করে একটু টোল খাওয়াতে পারেননি। তখন বেল পড়ে এসেছে, আকাশে যাকে বলে কনে-দেখা মেৰ। গঙ্গার জল লাল আভায় টলটল করছে। ওই ছিপছিপে ক্ষিপ্রগমন শরীরটি সেই রাঙা আলোর ভূমিকায় চিরদিন আঁকা রয়ে গেল আমার মনে । কী হল তার পরে ? তোমার ভাক শুনলুম কানে। কিন্তু এলে পড়েছি কোথায় ? তোমার থেকে কতদূরে ! তুমিও কি জান তার সব বিবরণ " *पञांबांद्रक जांनट७ मNeनां ८कन चारू ?* లి-8 e