পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৩

রবীন্দ্র-রচনাবলী به نوبه করিয়াছিলাম, তখন সমাজের সর্বত্রই তাহার যথার্থ উপায় অবলম্বিত হইয়াছিল। তখন যুরোপীয় রিলিজন-চর্চার আদর্শকে আমাদের দেশ কখনোই ধৰ্মলাভের আদর্শ বলিয়া গ্রহণ করিতে পারিত না । সুতরাং ধর্মপালন তখন সংকুচিত হইয়া বিশেষভাবে রবিবার বা আর-কোনো বারের সামগ্ৰী হইয় উঠে নাই। ব্রহ্মচর্য তাহার শিক্ষা ছিল, গৃহাশ্রম তাহার সাধনা ছিল, সমস্ত সমাজ তাহার অমুকুল ছিল— এবং যে ঋষির লন্ধকাম হইয়া বলিয়া উঠিয়াছিলেন— বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তমাদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ যাহারা বলিয়াছিলেন— আনন্দং ব্রহ্মণে বিদ্বান ন বিভেতি কুতশচন র্তাহারাই তাহার গুরু ছিলেন । ধর্মকে যে আমরা শৌখিনের ধর্ম করিয়া তুলিব ; আমরা যে মনে করিব, অজস্র ভোগবিলাসের একপাশ্বে ধর্মকেও একটুখানি স্থান দেওয়া আবশ্বক, নতুবা ভব্যতারক্ষা হয় না, নতুবা ঘরের ছেলেমেয়েদের জীবনে যেটুকু ধর্মের সংস্রব রাখা শোভন, তাহ রাখিবার উপায় থাকে না ; আমরা যে মনে করিব, আমাদের আদর্শভূত পাশ্চাত্যসমাজে ভদ্রপরিবারের ধর্মকে যেটুকুপরিমাণে স্বীকার করা ভদ্রতারক্ষার অঙ্গ বলিয়া গণ্য করেন, আমরাও সর্ববিষয়ে তাহদের অনুবর্তন করিয়া অগত্য সেইটুকুপরিমাণ ধর্মের ব্যবস্থা না রাখিলে লজ্জার কারণ হইবে ; তবে আমাদের সেই ভদ্রতাবিলাসের আসবাবের সঙ্গে ভারতের সুমহং ব্রহ্মনামকে জড়িত করিয়া রাখিলে আমাদের পিতামহদের পবিত্রতম সাধনাকে চটুলতম পরিহাসে পরিণত করা হইবে । যাহার ব্রহ্মকে সর্বত্র উপলব্ধি করিয়াছিলেন, সেই ঋষির কী বলিয়াছিলেন ? র্তাহারা বলেন— ঈশ৷ বাস্তমিদং সৰ্বং যৎকিঞ্চি জগত্যাং জগৎ । তেন ত্যক্তেন ভুঞ্জীখা মা পৃথঃ কস্তম্বিন্ধনম্। DDDBB BBSB BBBS BBBBD DDDD DDD BDD BBB DDDSDD DD DD DD করিয়াছেন তাহাই ভোগ করিতে হইবে—অষ্ঠের ধনে লোভ করিবে না। ইহার অর্থ এমন নহে যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এই কথাটা স্বীকার করিয়া লইয়া, তাহার পরে সংসারে যেমন ইচ্ছা, তেমনি করিয়া চলা । যথার্থভাবে ঈশ্বরের দ্বারা সমস্তকে আচ্ছন্ন করিয়া দেখিবার অর্থ অত্যন্ত বৃহৎ—সেরূপ করিয়া না দেখিলে সংসারকে সত্য করিয়া দেখা হয় না এবং জীবনকে অন্ধ করিয়া রাখা হয় । “দশ বাস্তমিদং সৰ্বম্”—ইহা কাজের কথা—ইহা কাল্পনিক কিছু নহে—ইহ