পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম JDS) আমাদের বিক্ষিপ্ত চিত্ত অহংকার হইতে স্বার্থ হইতে বিলাস হইতে প্রলোভন হইতে ছুটিয়া আসিবে। আজ শতধারা একধারী হইয়া গোমুখীর মুখনিঃস্থত সমুত্রবাহিনী গঙ্গার স্তায় প্রবাহিত হইবে—তাহা হইলে মুহূর্তের মধ্যে প্রান্তরশায়ী এই নির্জন তীর্থ यथांर्थ हे झब्रिचांद्र उँौर्ष इहेब्रा उठि८य । হে ব্ৰহ্মাওপতি, অন্ত নববর্ষের প্রভাতে তোমার জ্যোতিঃস্নাত তরুণ স্থৰ পুরোহিত হইয়া নিঃশব্দে আমাদের আলোকের অভিষেক সম্পন্ন করিল। আমাদের ললাটে আলোক স্পর্শ করিয়াছে। আমাদের দুই চক্ষু আলোকে ধৌত হইয়াছে। আমাদের পথ আলোকে রঞ্জিত হইয়াছে । আমাদের সদ্যোজাগ্রত হৃদয় ব্রতগ্রহণের জন্ত তোমার সম্মুখে উপবিষ্ট হইয়াছে। যে-শরীরকে অদ্য তোমার সমীরণ স্পর্শ করিল তাহাকে যেন প্রতিদিন পবিত্র রাখিয়া তোমার কর্মে নিযুক্ত করি। যে-মন্তকে তোমার প্রভাতকিরণ • বর্ধিত হইল সে-মস্তককে ভয় লজ্জ ও হীনতার অবনতি হইতে রক্ষা করিয়া তোমারই পূজায় প্রণত করি । তোমার নামগানধারা আজ প্রত্যুষে যে-হৃদয়কে পুণ্যবারিতে স্নান করাইল, সে যেন আনন্দে পাপকে পরিহার করিতে পারে, আনন্দে তোমার কল্যাণকৰ্মে জীবনকে উংসর্গ করিতে পারে, আনন্দে দারিদ্র্যকে ভূষণ করিতে পারে, আনন্দে দুঃখকে মহীয়ান করিতে পারে, এবং আনন্দে মৃত্যুকে অমৃতরূপে বরণ করিতে পারে। আজিকার প্রভাতকে কালি যেন বিস্কৃত না হই। প্রতিদিনের প্রাতঃস্থর্য যেন আমাদিগকে লজ্জিত না দেখে ; তাহার নির্মল আলোক আমাদের নির্মলতার, তাহার তেজ আমাদের তেজের সাক্ষী হইয়া যায়—এবং প্রতি সন্ধ্যাকালে আমাদের প্রত্যেক দিনটিকে নির্মল অর্ঘ্যের স্বায় তাহার রক্তিম স্বর্ণখালিতে বহন করিয়া তোমার সিংহাসনের সম্মুখে স্থাপন করিতে পারে । হে পিতা, আমার মধ্যে নিয়তকাল তোমার ষে আনন্দ স্তব্ধ হইয়া আছে, যে আনন্দে তুমি আমাকে নিমেষকালও পরিত্যাগ কর নাই, যে আনন্দে তুমি আমাকে জগতে জগতে রক্ষা করিতেছ, ষে আনন্দে স্থধোদয় প্রতিদিনই আমার নিকটে অপূর্ব, স্থর্যাস্ত প্রতিসন্ধ্যায় আমার নিকট রমণীয়, যে আনন্দে অজ্ঞাত ভুবন আমার আত্মীয়, অগণ্য নক্ষত্র আমার সুপ্তরাত্রির মণিমাল্য, যে আনন্দে জন্মমাত্রেই আমি বহুলোকের প্রিয় পরিচিত, সমস্ত অতীত মানবের মকুন্তত্বের উত্তরাধিকারী, যে আনন্দে দুঃখ নৈরাপ্ত বিপদ মৃত্যু কিছুই লেশমাত্র নিরর্থক নহে,-আমি যেন প্রবৃত্তির ক্ষোভে পাপের লজ্জায় আমার মধ্যে তোমার সেই আনন্দ-মন্দিরের দ্বার নিজের নিকটে রুদ্ধ করিয়া রাখিয়া পথের পক্ষে দৃচ্ছ লুষ্ঠিত হওয়াকেই আমার মুখ আমার স্বাধীনতা বলিয়া ভ্ৰম না করি। জগৎ তোমার জগৎ, আলোক তোমার আলোক, প্রাণ তোমার নিশ্বাস, এই কথা স্মরণে রাখিয়া জীবনধারণের যে পরম পবিত্র গৌরব তাহার অধিকারী হই, অস্তিত্বের ষে অপার