পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম 88% দেখিয়া তৃপ্তিলাভ কৰি । মাঝপথে যেখানেই হউক, তাহার অকস্মাৎ অৰসান অসংগত্ত অসমাপ্ত। এ-কথা ৰদি অন্তরের সঙ্গে বুৰিতে পারি, তবে বলিতেই হইৰে, এই সত্যকেই উপলদ্ধি করিৰার জন্য সকল জাতিকেই নানা পথ দিয়া নানা আঘাতে ঠেকিয়া ংবার চেষ্টা করিতেই হইবে। ইহার কাছে বিলাসীর উপকরণ, নেশনের প্রতাপ, রাজার ঐশ্বৰ্ষ, বণিকের সমৃদ্ধি, সমস্তই গৌণ ; মাহুষের আত্মাকে জরী হইতে হইবে, মানুষের আত্মাকে মুক্ত হইতে হুইবে, তবেই মাছুষের এতকালের সমস্ত চেষ্টা সার্থক হইবে—নহিলে ততঃ কিম, ততঃ কিম, ততঃ কিম্। SD)\లి আনন্দরূপ সত্যং জ্ঞানমনস্তম্। তিনি সত্য, তিনি জ্ঞান, তিনি অনস্ত। এই অনন্ত সত্যে, অনন্ত জ্ঞানে তিনি আপনাতে আপনি বিরাজিত । সেখানে আমরা তাহাকে কোথায় পাইব । সেখান হইতে যে বাক্যমন নিবৃত্ত হইয়া আসে । কিন্তু উপনিষদ এ-কথাও বলেন যে, এই সত্যং জ্ঞানমনন্তম আমাদের কাছে প্রকাশ পাইতেছেন। তিনি অগোচর নহেন। কিন্তু তিনি কই প্রকাশ পাইতেছেন। কোথায় ? * আনন্দরূপমমৃতং যদ্বিভাতি । র্তাহার আনন্দরূপ অমৃতরূপ আমাদের কাছে প্রকাশ পাইতেছে । তিনি যে আনন্দিত, তিনি যে রসস্বরূপ, ইহাই আমাদের নিকট প্রকাশমান । 歡 কোথায় প্রকাশমান ?—এ প্রশ্ন কি জিজ্ঞাসা করিতে হুইবে ? যাহা অপ্রকাশিত, তাহার সম্বন্ধেই প্রশ্ন চলিতে পারে, কিন্তু যাহা প্রকাশিত, তাছাকে “কোথায়” বলিয়া কে সন্ধান করিয়া বেড়ায় ? প্রকাশ কোনখানে ? এই ষে চারিদিকে যাহা দেখিতেছি, তাহাই যে প্রকাশ । এই যে,সম্মুখে, এই ষে পার্থে, এই ষে অধোতে, এই ষে উর্ধের্ব—এই ষে কিছুই গুপ্ত নাই। এ যে সমস্তই সুস্পষ্ট। এ ষে আমার ইঞ্জিয়মনকে অহোরান্ত্রি অধিকার করিয়া ব্লছিয়াছে। স এবাধস্তাং স উপরিষ্টাং স পশ্চাং স পুরস্তাং স দক্ষিণতঃ স উভৱতঃ । এই তো প্রকাশ, এ-ছাড়া আর প্রকাশ কোথায় ? এই যে মাহাকে আমরা প্রকাশ বলিতেছি, এ কেমন করিয়া হইল ? তাহার ইচ্ছায়, তাহাৰ আনন্দ্রে, তাহার অন্বতে। আর তো কোনো কারণ থাকিতেই পারে وجه تسمیه