পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭২

শান্তিনিকেতন 8(ty ঠিক মতে পায় না। এতে তার মঙ্গল হতেই পারে না । ষে ব্যক্তি বন্ধুর কাছ থেকে । কখনো আঘাত পায় না কেবলই প্রশ্রয় পায় সে হতভাগ্য বন্ধুত্বের পূর্ণ আস্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়—বন্ধুরা তার সম্বন্ধে পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে উঠতে পারে না। । জগতে এই ষে আমাদের দুঃখের পাওনা এ যে সম্পূর্ণ স্তায়সংগত হবেই তা নয়। যাকে আমরা অন্তায় বলি অবিচার বলি তাও আমাদের গ্রহণ করতে হবে—অত্যস্ত সাবধানে স্বাক্ষহিসাবের খাতা খুলে কেবলমাত্র স্থায্যটুকুর ভিতর দিয়েই নিজেকে মাস্থ্য করে তোলা— সে তো হয়েও ওঠে না এবং হলেও তাতে আমাদের মঙ্গল হয় না । অস্তায় এবং অবিচারকেও আমরা উপযুক্ত ভাবে গ্রহণ করতে পারি এমন আমাদের সামর্থ্য থাকা চাই । পৃথিবীতে আমাদের ভাগে যে মুখ পড়ে তাও কি একেবারে ঠিক হিসাবমতো পড়ে, অনেক সময়েই কি আমরা গাঠের থেকে যা দাম দিয়েছি তার চেয়ে বেশি খরিদ করে কেলি নে ? কিন্তু কখনো তো মনে করি নে আমি তার অযোগ্য। সবটুকুই তো দিব্য অসংকোচে দখল করি । দুঃখের বেলাতেই কি কেবল স্থায় অন্তায়ের হিসাব মেলাতে হবে ? ঠিক হিসাব মিলিয়ে কোনো জিনিস যে আমরা পাই নে । তার একটি কারণ আছে। গ্রহণ এবং বর্জনের ভিতর দিয়েই আমাদের প্রাণের ক্রিয়া চলতে থাকে—কেন্দ্রাচুগ এবং কেন্দ্রাতিগ এই দুটো শক্তিই আমাদের পক্ষে সমান গৌরবের—আমাদের প্রাণের আমাদের বুদ্ধির আমাদের সৌন্দর্যবোধের আমাদের মঙ্গল প্রবৃত্তির, বস্তুত আমাদের সমস্ত শ্রেষ্ঠতার মূল ধর্মই এই যে সে যে কেবলমাত্র নেবে তা নয় সে ত্যাগও করবে । এইজন্তই আমাদের আহার্য পদার্থে ঠিক হিসাবমতে আমাদের প্রয়োজনের উপকরণ থাকে না তাতে যেমন খাদ্য অংশ আছে তেমনি অখাদ্য অংশও আছে। এই অখাদ্য অংশ শরীর পরিত্যাগ করে। যদি ঠিক ওজনমতে নিছক খাদ্য পদার্থ আমরা গ্রহণ করি তাহলে আমাদের চলে না, শরীর ব্যাধিগ্রস্ত হয় । কারণ কেবল কি আমাদের পাকশক্তি ও পাকযন্ত্র আছে ? - আমাদের ত্যাগশক্তি ও ত্যাগযন্ত্র আছে- সেই শক্তি•সেই যন্ত্রকেও আমাদের কাজ দিতে হবে, তবেই গ্রহণ বর্জনের সামঞ্জস্তে প্রাণের পূর্ণতাসাধন ঘটবে। ংসারে তেমনি আমরা যে কেবলমাত্র ভাষ্যটুকু পাব, কেউ আমাদের প্রতি কোনো অবিচার করবে না এও বিধান নয়। সংসারে এই স্তায়ের সঙ্গে জন্তায় মিশ্রিত থাকা আমাদের চরিত্রের পক্ষে একান্ত আবস্তক। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ক্রিয়ার মতো আমাদের छबिप्जब अयन ७की नश्ण चत्यउ षांक फारे बाएउ थांबाप्रब cषप्लेकू थाना ०गङ्गेरु অনায়াসে গ্রহণ করি এবং যেটুকু ত্যাজ্য সেটুকু বিনাক্ষোতে ত্যাগ করতে পারি।