পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& রবীন্দ্র-রচনাবলী বলেছেন যে যোগে আমরা অনাসক্ত হয়ে কর্ম করি। অনাসক্ত হয়ে কর্ম করলেই কর্মের উপর আমার পূর্ণ অধিকার জন্মে—নইলে কর্মের সঙ্গে জড়ীভূত হয়ে আমরা কর্মেরই অঙ্গীভূত হয়ে পড়ি, আমরা কর্মী হই নে। ! অতএব সংসারকে লাভ করতে হলে আমাদের সংসারের বাইরে যেতে হবে, এবং কর্মকে সাধন করতে গেলে আসক্তি পরিহার করে আমাদের কর্ম করতে হবে । তার মানেই হল এই যে, সংসারে নেওয়া এবং দেওয়া এই যে ছটে বিপরীত ধর্ম আছে এই দুই বিপরীতের সামঞ্জস্ত করতে হবে—এর মধ্যে একটা একান্ত হয়ে উঠলেই তাতে অকল্যাণ ঘটে। যদি নেওয়াটাই একমাত্র বড়ো হয় তাহলে আমরা আবদ্ধ হই, আর যদি দেওয়াটাই একমাত্র বড়ো হয় তাহলে আমরা বঞ্চিত হই। যদি কৰ্মট মুক্তিবিবর্জিত হয় তাহলে আমরা দাস হই আর যদি মুক্তি কর্মবিহীন হয় তাহলে আমরা বিলুপ্ত হই। বস্তুত ত্যাগ জিনিসটা শূন্তত নয়, তা অধিকারের পূর্ণত । নাবালক যখন সম্পত্তিতে পূর্ণ অধিকারী না হয় তখন সে দান বিক্রয় করতে পারে না—তখন তার কেবল ভোগের ক্ষুদ্র অধিকার থাকে ত্যাগের মহৎ অধিকার থাকে না । আমরা যে অবস্থায় কেবল জমাতে পারি কিন্তু প্ৰাণ ধরে দিতে পারি নে সে অবস্থায় আমাদের সেই সঞ্চিত সামগ্রীর সম্বঙ্গে আমাদের স্বাধীনতা থাকে না । এইজন্যে খ্রীস্ট বলে গিয়েছেন, যে লোক ধনী তার পক্ষে মুক্তি বড়ো কঠিন । কেননা যেটুকু ধন সে ছাড়তে না পারে সেইটুকু ধনই যে তাকে বঁধে এই বন্ধনটাকে যে যতই বড়ো করে তুলেছে সে যে ততই বিপদে পড়েছে। এই সমস্ত বন্ধন প্রত্যহ শিথিল হয়ে আসছে প্রত্যহ ত্যাগ আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে আসছে আমাদের উপাসনা থেকে এই ফলটি যেন লাভ করি । নানা আসক্তির নিবিড় আকর্ষণে আমাদের প্রকৃতি একেবারে পাথরের মতে আঁট হয়ে আছে। উপাসনার সময় অমৃতের ঝরনা করতে থাক - আমাদের অণুপরমাণুর ছিদ্রের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে থাকৃ—এই পাষাণটাকে দিনে দিনে বিশ্লিষ্ট করতে বাৰু, আর্দ্র করতে থাক, তার পরে ক্রমে এটা খইয়ে দিয়ে সরিয়ে দিয়ে জীবনের মাঝখানে একটি বৃহৎ অবকাশ রচনা করে সেই অবকাশটিকে পূর্ণ করে দিক । দেখে, একবার ভিতরের দিকে চেয়ে দেখো—অস্তরের সংকোচনগুলি তার নামের আঘাতে প্রতিদিন প্রসারিত হয়ে আসছে, সমস্ত প্রসন্ন হচ্ছে, শান্ত হচ্ছে, কৰ্ম সহজ হচ্ছে, সকলের সঙ্গে সম্বন্ধ गङा ७ जबण एटव्ह, ७द२ मेषरबब बशिया ७हे यांनबबौबटनब्र भएषा थछ एक खेळैरह ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩১৫ * J.