পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা তখন রানী আসন হতে উঠে” আমার করপুটে তুলে দিলেন, শূন্ত ক’রে থালা, আপন বিজয়মালা । পথে যখন বাহির হলেম মালা মাথায় প’রে মনে হল বিশ্ব আমার চতুর্দিকে ঘোরে ঘূর্ণি ধুলার মতো । মাহুষ শত শত ঘিরল আমায় দলে দলে— কেউ বা কৌতুহলে, কেউ বা প্ৰতিচ্ছলে, কেউ বা মানির পঙ্ক দিতে গায় । হায় রে হায় এক নিমেষে স্বচ্ছ আকাশ ধূসর হয়ে যায় । এই ধরণীর লাজুক যত সুখ, ছোটোখাটো আনন্দেরি সরল হাসিটুক, নদীচরের ভীরু হংস দলের মতো কোথায় হল গত । আমি মনে মনে ভাবি, “এ কি দহনজালা আমার বিজয়মালা ।” ওগো রানী, তোমার হাতে আর কিছু কি নেই । শুধু কেবল বিজয়মালা এই ? জীবন আমার জুড়ায় না যে ; বক্ষে বাজে তোমার মালার ভার ;– এই যে পুরস্কার এ তে কেবল বাইরে আমার গলায় মাথায় পরি ; 49వి