পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6:38 রবীন্দ্র-রচনাবলী প্রার্থনার সত্য কেউ কেউ বলেন উপাসনায় প্রার্থনার কোনো স্থান নেই—উপাসনা কেবলমাত্র ধ্যান। ঈশ্বরের স্বরূপকে মনে উপলব্ধি করা । সে কথা স্বীকার করতে পারভূম যদি জগতে আমরা ইচ্ছার কোনো প্রকাশ না দেখতে পেতুম। আমরা লোহার কাছে প্রার্থনা করি নে, পাথরের কাছে প্রার্থনা করি নে—যার ইচ্ছাবৃত্তি আছে তার কাছেই প্রার্থনা জানাই । ঈশ্বর যদি কেবল সত্যস্বরূপ হতেন, কেবল অব্যর্থ নিয়মরূপে তার প্রকাশ ছত তাহলে তার কাছে প্রার্থনার কথা আমাদের কল্পনাতেও উদিত হতে পারত না । কিন্তু তিনি না কি “আনন্দরূপমমৃতং,” তিনি নাকি ইচ্ছাময়, প্রেমময়, আনন্দময়, সেইজন্তে কেবলমাত্র বিজ্ঞানের দ্বারা তাকে আমরা জানি নে, ইচ্ছার দ্বারাই তার ইচ্ছাস্বরূপকে আনন্দস্বরূপকে জানতে হয় । পূর্বেই বলেছি জগতে ইচ্ছার একটি নিদর্শন পেয়েছি সৌন্দর্বে। এই সৌন্দৰ আমাদের ইচ্ছাকে জাগ্রত করে এবং ইচ্ছার উপরেই তার নির্ভর । এইজন্ত আমরা সৌন্দর্ধকে উপকরণরূপে ব্যবহার করি প্রেমের ক্ষেত্রে, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে নয়। এই জষ্ঠ আমাদের সঙ্গ, সংগীত, সৌন্দর্য সেইখানেই, যেখানে ইচ্ছার সঙ্গে ইচ্ছার যোগ, আনন্দের সঙ্গে আনন্দের মিলন । জগদীশ্বর তার জগতে এই অনাবশুক সৌন্দর্বের এমন বিপুল আয়োজন করেছেন বলেই আমাদের হৃদয় বুঝেছে জগং একটি মিলনের ক্ষেত্র—নইলে এখানকার এত সাজসজা একেবারেই বাহুল্য। জগতে হৃদয়েরও একটা বোঝবার বিষয় আছে, সে কথা একেবারে উড়িয়ে দিলে চলবে কেন ? একদিকে আলোক আছে বলেই আমাদের চক্ষু আছে ; একদিকে সত্য আছে বলেই আমাদের চৈতন্ত আছে,—একদিকে জ্ঞান আছে বলেই আমাদের বুদ্ধি আছে ; তেমনি আর একদিকে কী আছে জামাদের মধ্যে হৃদয় হচ্ছে ষার প্রতিরূপ ? উপনিষং এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন—“রসোবৈ সঃ।” তিনিই হচ্ছেন রস—তিনিই यांनञ ! (...) পূর্বেই আভাস দিয়েছি আমরা শক্তির দ্বার প্রয়োজন সাধন করতে পারি, যুক্তির দ্বারা জ্ঞান লাভ করতে পারি কিন্তু আনন্দের সম্বন্ধে শক্তি এবং যুক্তি কেবল খায় পৰম্ভ এসে ঠেকে যায়—তাদের বাইরেই দাড়িয়ে থাকতে হয় । এই আনন্দের সঙ্গে একেবারে জজপুরের সমন্ধ হচ্ছে ইচ্ছার। আনলে কোনোরকম জোর খাটে ন—সেখানে কেবল 軟 हैऋ cकवण भूनि I