পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\9 রবীন্দ্র-রচনাবলী সকাল-সাঝের বীণার তারে পৌঁছেতি না মোর বাতায়ন-স্বারে । ঋতুর পরে আসত ঋতু শুধু কেবল পঞ্জিকারি পাতে, আমার আঙিনাতে আনত না তার রঙিন পাতার ফুলের নিমন্ত্রণ । অস্তরে মোর লুকিয়ে ছিল কী যে সে ক্ৰন্দন জানব এমন পাই নি অবকাশ । প্রাণের উপবাস ংগোপনে বহন করে কর্মরথে সমারোহে চলতেছিলেম নিস্ফলতার মরুপথে । তিনটে চারটে সভা ছিল জুড়ে আমার কাধ ; দৈনিকে আর সাপ্তাহিকে ছাড়তে হত নকল সিংহনাদ ; বৗডন কুঞ্জে মাটিং হলে আমি হতেম বক্তা ; রিপোর্ট লিখতে হত তৰণ তক্তা ; যুদ্ধ হত সেনেট-সিক্তিকেটে, তার উপরে আপিস আছে, এমনি করে কেবল খেটে পেটে দিনরাত্রি যেত কোথায় দিয়ে । বন্ধুরা সব বলত, “করছ কী এ । মারা যাবে শেষে !” আমি বলতেম হেসে, “কা করি ভাই, খাটতে কি হয় সাধে । একটু যদি ঢ়িল দিয়েছি অমনি গলদ বাধে, কাজ বেড়ে যায় আরো— কী করি তার উপায় বলতে পার ?” বিশ্বকর্মীর সদর আপিস ছিল যেন আমার পরেই ন্যস্ত, অহোরাত্রি এমনি আমার ভাবটা ব্যতিব্যস্ত । সেদিন তখন দু-তিন রাত্রি ধরে গত সনের রিপোর্টখানা লিখেছি খুব জোরে