পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতক অসীম ধৈর্ষে সইত সে মোর হাজার অত্যাচার, সকল কথায় মানত মন্ত্র হার । উঠে গাছের আগভালেতে দোল খেতেম জোরে, ভয় দেখাতেম পড়ি-পড়ি ক’রে, কাদো-কাদো কণ্ঠে তাহার করুণ মিনতি সে, ভুলতে পারি কি সে । মনে পড়ে নীরব ব্যথা তার, বাবার কাছে যখন খেতেম মার ; ফেলেছে সে কত চোখেরজল, মোর অপরাধ ঢাকা দিতে খুজিত কত ছল । আরো কিছু বড়ো হলে আমার কাছে নিত সে তারবাংলা পড় বলে । নাম তাটা তার কেবল যেত বেধে, তাই নিয়ে মোর একটু হাসি সইত না সে, উঠত লাজে কেঁদে । আমার হাতে মোট মোটা ইংরেজি বই দেপে ভাবত মনে, গেছে যেন কোন আকাশে ঠেকে রাশীকৃত মোর বিদ্যার বোঝা । যা-কিছু সব বিষম কঠিন, আমার কাছে যেন নেহাত সোজা । হেনকালে হঠাৎ সেবার, দশমীতে স্বরি গ্রামে ঠাকুর ভাসান দেবার রাস্তা নিয়ে দুই পক্ষের চাকর-দরোয়ানে বকবিকি লাঠালাঠি বেধে গেল গলির মধ্যখানে । তাই নিয়ে শেষ বাবার সঙ্গে মন্থর বাবার বাধল মকদ্দম, কেউ কাহারে করলে না আর ক্ষম । দুয়ার মোদের বন্ধ হল, আকাশ যেন কালো মেঘে অন্ধ হল, হঠাৎ এল কোন দশমী সঙ্গে নিয়ে ঝঙ্কার গর্জন, মোর প্রতিমার হল বিসর্জন । ۹ -سسساعلا 8ఫి