পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐこう রবীন্দ্র-রচনাবলী সমাজ কোথায় পড়ে থাকে, নিয়ে সমাজতত্ত্ব মাসিক পত্রে প্রবন্ধ উন্মত্ত । ষত লিখছি কাব্য ততই নোংরা সমালোচন হতেছে অশ্রাব্য । কথায় কেবল কথারি ফল ফলে, পুথির সঙ্গে মিলিয়ে পুথি কেবলমাত্র পুথিই বেড়ে চলে আজ আমার এই ষাট বছরের বয়সকালে পুথির স্বষ্টি জগৎটার এই বন্দীশালে স্থাপিয়ে উঠলে প্রাণ পালিয়ে যাবার একটি আছে স্থান । সেই মহেশের পাশে পাড়ায় যারে পাগল বলে হাসে । পাছে পাছে ছেলেগুলো সঙ্গে যে তার লেগেই আছে । তাদের কলরবে নানান উপদ্রবে একমুহূর্ত পায় লা শাস্তি, তবু তাহার নাই কিছুতেই ক্লাস্তি । বেগার-পাট কাজ তারি ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে কেউ মানে না লাজ । সকালবেলায় ধরে ভজন গল! ছেড়ে, যতই সে গায়, বেসুর ততই চলে বেড়ে । তাই নিয়ে কেউ ঠাট্টা করলে এসে মহেশ বলে হেসে, “আমার এ গান শোনাই র্যারে, বেস্থর শুনে হাসেন তিনি, বুক ভরে সেই হাসির পুরস্কারে । তিনি জানেন, সুর রয়েছে প্রাণের গভীর তলায়, বেশুর কেবল পাগলের এই গলায় ।”