পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা সকল প্রয়োজনের বাহির সে যে স্বষ্টিছাড়া, তার ঘরে তাই সকলে পায় সাড়া । একটা রোগা কুকুর ছিল, নাম ছিল তার ভূতে, একদা কার ঘরের দাওয়ায় ঢুকেছিল অনাহূত,— মারের চোটে জরজর পথের ধারে পড়ে ছিল মর-মর, খোড়া কুকুরটারে বঁচিয়ে তুলে রাখলে মহেশ আপন ঘরের স্বারে । আরেকটি তার পোষ্য ছিল, ডাকনাম তার সুমি, কেউ জানে না জাত ষে কী তার, মুসলমান কি কাহার কিংবা কুমি । সে-বছরে প্রয়াগেতে কুম্ভমেলায় নেয়ে ফিরে আসতে পথে দেখে চার বছরের মেয়ে কেঁদে বেড়ায় বেলা দুপুর দুটোয়। মা নাকি তার ওলাউঠোয় মরেছে সেই সকালবেলায় ; মেয়েটি তাই বিষম ভিড়ের ঠেলায় পাক পেয়ে সে বেড়াচ্ছিল ভয়েই ভেবাচেকা,— মহেশকে যেই দেখা কী ভেবে ষে হাত বাড়াল জানি না কোন ভুলে ; অমনি পাগল নিল তারে কাধের পরে তুলে, ভোলানাথের জটায় যেন ধুতরোফুলের কুঁড়ি ; সে অবধি তার ঘরের কোণটি জুড়ি মুমি আছে ঐ পাগলের পাগলামির এক স্বচ্ছ শীতল ধারা হিমালয়ে নিঝরিণীর পার । এপন তাহার বয়স হবে দশ, ধেতে শুতে অষ্টপ্রহর মহেশ তারি বশ । আছে পাগল ঐ মেয়েটির খেলার পুতুল হয়ে যত্নসেবার অত্যাচারটা সয়ে । সন্ধ্যাবেলায় পাড়ার থেকে ফিরে যেমনি মহেশ ঘরের মধ্যে ঢোকে ধীরে ধীরে, ميt-----سنت < ¢ጫ