পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পলাতকা সিড়ির মধ্যে যেতে যেতে প্রদীপটা তার নিবে গেছে বাতাসেতে । শুধাই তারে, “কী হয়েছে, বামী ।” সে কেঁদে কয় নিচে থেকে, “হারিয়ে গেছি আমি ।” তারায় ভরা চৈত্রমাসের রাতে ফিরে গিয়ে ছাতে মনে হল অভ্যাকশিপানে চেয়ে আমার বামীর মতোই যেন অমনি কে এক মেয়ে নীলাম্বরের আঁচলখানি ঘিরে দীপশিখাটি বাচিয়ে এক চলছে ধীরে ধীরে । নিবত যদি আলো, যদি হঠাৎ যেত থামি আকাশ ভরে উঠত কেঁদে, “হারিয়ে গেছি আমি ।” শেষ গান যারা আমার সাঝস কালের গানের দীপে জালিয়ে দিলে আলো আপন হিয়ার পরশ দিয়ে ; এই জীবনের সকল সাদা কালো যাদের আলোক-ছায়ার লীলা ; মনের মাহুষ বাইরে বেড়ায় যারা তাদের প্রাণের ঝরনা-শ্রোতে আমার পরান হয়ে হাজার ধারা চলছে বয়ে চতুর্দিকে । নয় তো কেবল কালের ষোগে আয়ু, নয় সে কেবল দিনরজনীর সাতনলি হার, নয় সে নিশাস-বায়ু । নানান প্রাণের প্রীতির মিলন নিবিড় হয়ে স্বজনবন্ধুজনে পরমায়ুর পাত্ৰখানি জীবনস্বধায় ভরছে ক্ষণে ক্ষণে। একের বাচন সবার বাচার বদ্যাবেগে আপন সীমা হারায় বহুদূরে ; নিমেষগুলির ফলের গুচ্ছ ভরে রসের ধারায় । অতীত হয়ে তবুও তারা বর্তমানের বৃন্তদোলায় দোলে,— গর্ত-বাধন কাটিয়ে শিশু তবু যেমন মায়ের বক্ষে কোলে מט\