পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS রবীন্দ্র-রচনাবলী SuBBBBLLLL LBBBL CBBS LLLBB BBB BBL YBrLSSDBB L TD BBB LLS LL LL BBL পরে ?” “তার পরে আমি তোমার সািজ কখনো হাড়ৰ না ।” “কী করবে তুমি।” “দেখব, যেন কেউ তোমায় ঠকাতে না পারে। আমি ছাড়া।” নন্দকিশোর হেসে বললেন, “আজ বেশ, রইল কথা, এই পয়ো আমার আংটি (* কটি পাথর আছে ঔর মনে, তার উপরে দাগ পড়ল একটা দামি ধাতুর । দেখতে পেলেন মেয়েটির ভিতর থেকে কাক কাক করছে ক্যারেকটরের তেজ- বোঝা গেল ও নিজের দাম নিজে জানে, তাতে একটুমাত্ৰ সংশয় নেই। নন্দকিশোর অনায়াসে বললে, “দেবী টাকা- দিলে সাত হাজার বুড়ি আইমাকে । মেয়েটিকে ডাকত সবাই সোহিনী বলে। পশ্চিমী হলের সুকঠোর এবং সুন্দর তার চেহারা। কিন্তু চেহারায় মন টলাবে, নন্দকিশোর সে জাতের লোক ছিলেন না। যৌবনের হাটে মন নিয়ে জুয়ো খেলবার সময়ই ছিল না উঠার । নন্দকিশোর ওকে যে-দশা থেকে নিয়ে এসেছিলেন সেটা খুব নির্মল নয়, এবং নিভৃত নয়। কিন্তু ঐ একরোখা একওঁয়ে মানুষ সাংসারিক প্রয়োজন বা প্রথাগত বিচারকে গ্ৰাহ্য করতেন না। বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করত, বিয়ে করেছে কি ? উত্তরে শুনতে, বিয়েটা খুব বেশি মাত্রায় নয়, সহমত । লোকে হাসত যখন দেখাত, উনি স্ত্রীকে নিজের বিদ্যের ছাচে গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লেগে গিয়েছেন । জিজ্ঞাসা করত, “ও কি প্রোফেসরি করতে যাবে নাকি ?” নন্দ বলতেন, “না, ওকে নিজকিশোর করতে হনুলুল্ল মেলে কাজ কের ? বলত, “আমি অনববিবাহ পাৰ কৰি নে ? “সে কী হে ।” “স্বামী হবে এভিনিয়র আর স্ত্রী হবে কোটন-কুটনি, এটা মানবধর্মশাত্রে নিষিদ্ধ। ঘরে ঘরে দেখতে পাই দুই আলাদা আলাদা জাতে গাঁটছড়া বাধা, আমি জাত মিলিয়ে নিচ্ছি। পতিব্ৰতা স্ত্রী চাও যদি, আগে ব্ৰতের মিল করাও ।” R নন্দকিশোর মারা গেলেন শ্ৰীেড় বয়সে কোন-এক দুঃসাহসিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অপঘাতে । সোহিনী সমস্ত কারবার বন্ধ করে দিলে । বিধবা মেয়েদের ঠকিয়ে খাবার ব্যাবসাদার এসে পড়ল চার দিক থেকে । মামলার ফঁাদ ফাদলে আীয়তার ছিটেফোটা আছে যাদের । সোহিনী স্বয়ং সমান্ত আইনের প্যাচ নিতে লাগল বুকে । তার উপরে নারীর মোহজাল বিতার করে দিলে স্থান বুঝে উকিলপাড়ায়। সেটাতে তার অসংকোচ নৈপূণ্য ছিল, সংস্কার মােনর কোনো বালাইছিল না। মামলায় জিতে নিলে একে একে, দূর সম্পর্কের দেওয়া গেল জেলে দলিল জাল করার অপরাধে । ওদের একটি মেয়ে আছে, তার নামকরণ হয়েছিল নীলিমা । মেয়ে স্বয়ং সেটিকে বদল করে নিয়েছে- নীলা । কেউ না মনে করে, বাপ-মা মেয়ের কালো রঙ দেখে একটা মোলায়েম নামের তলায় সেই নিৰ্দেটি চাপা দিয়েছে। মেয়েটি একেবারে ফুটফুটে গীেরবর্ণ। মা বলত, ওদের পূর্বপুরুষ কাশ্মীর থেকে এসেছিল- মেয়ের দেহে ফুটেছে কাশ্মীরী শ্বেতপদের আভা, চোখেতে নীলপত্রের আভাস, আর চুলে চমক দেয় যাকে বলে পিঙ্গলবৰ্ণ । মেয়ের বিয়ের প্রসঙ্গে কুলশীল জাতগুটির কথা বিচার করবার রাজা ছিল না। একমাত্র ছিল মান ভোলাবার পথ, শাস্ত্রকে ডিঙিয়ে গেল তার ভেলকি । অল্প বয়সের মাঙ্গোয়ারি ছেলে, তার টাকা পৈতৃক,শিক্ষা এ কালের। অকস্মাৎ সে পড়ল এসে অনঙ্গের অলঙ্কা ফালে । নীলা একদিন গাড়ির