পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

टिन जी SC অপেক্ষায় ইকুলের দরজার কাছে ছিল দাড়িয়ে । সে সময় ছেলেটি দৈবাৎ তাকে দেখেছিল। তার পর থেকে আরো কিছুদিন ঐ রান্তায় সে বায়ুসেবন করেছে। স্বাভাবিক শ্ৰীবুদ্ধির প্রেরণায় মেয়েটি গাড়ি আসবার বেশ কিছুক্ষণ পূর্বেই গেটের কাছে দাড়াত। কেবল সেই মাড়োয়ারি ছেলে নয়, আরো দুচার সম্প্রদায়ের যুবক, ঐখানটায় অকারণ পদচারণার চর্চা করত । তার মধ্যে ঐ ছেলেটিই চোখ বুজে দিল ধাপ ওর জালের মধ্যে । আর ফিরল না । সিভিল মতে বিয়ে করলে সমাজের ওপারে । বেশি দিনের মেয়াদে নয়। তার ভাগ্যে বাধুটি এল প্রথমে, তার পরে দাম্পত্যের মাঝখানটাতে দাড়ি টানলে GINS, VIR YG3 RF | সৃষ্টিতে অনাসৃষ্টিতে মিশিয়ে উপদ্রব চলতে লািগল। মা দেখতে পায় তার মেয়ের ছটফটানি। মনে পড়ে নিজের প্রথম বয়সের স্বালামুখীর অগ্নিচাঞ্চল্য । মন উদবিগ্ন হয়। খুব নিবিড় করে পড়াশোনার বেড়া ফাঁদতে থাকে। পুরুষ শিক্ষক রাখল না। একজন বিদুখীকে লাগিয়ে দিল ওর শিক্ষকতায় । নীলার যৌবনের আঁচ লগত তারও মনে, তুলত তাকে তাঁতিয়ে অনিৰ্দেশ্য কামনার তপ্তবাম্পে। মুন্ধের দল ভিড় করে আসতে লাগল। এদিকে ওদিকে । কিন্তু দরওয়াজা বন্ধ। বন্ধুত্বপ্রয়াসিনীরা নিমন্ত্রণ করে চায়ে টেনিসে সিনেমায়, নিমন্ত্ৰণ পৌঁছয় না কোনো ঠিকানায়। অনেক লোভী ফিরতে লািগল মধুগন্ধভরা আকাশে, কিন্তু কোনো অভাগ্য কাণ্ডাল সোহিনীর ছাড়পত্র পায় না। এদিকে দেখা যায় উৎকণ্ঠিত মেয়ে সুযোগ পেলে উকি ঝুঁকি দিতে চায় অজায়গায়। বই পড়ে যে বই টেক্সটবুক কমিটির অনুমোদিত নয়, ছবি গোপনে আনিয়ে নেয় যা আটশিক্ষার আনুকূল্য করে বলে বিড়ম্বিত । ওর বিদুষী শিক্ষয়িত্রীকে পর্যন্ত অন্যমনস্ক করে দিলে। ডায়োসিশন থেকে বাড়ি ফেরবার পথে আলুথালুচুলওয়ালা গোফের রেখামাত্র-দেওয়া সুন্দর হানো এক ছেলে ওর গাড়িতে চিঠি ফেলে দিয়েছিল। ওর রক্ত উঠেছিল হুম ছম করে । চিঠিখানা লুকিয়ে রেখেছিল জামার মধ্যে। ধরা পড়ল মায়ের কাছে । সমস্ত OO BBD LLL S DDS DODrL S সোহিনীর স্বামী যাদের বৃত্তি দিয়েছিলেন, সেই সব ভালো ভালো ছাত্রীমহলে সোহিনী পাত্র সন্ধান করেছে । সবাই প্রায় আড়ে আড়ে ওর টাকার থলির দিকে তাকায় । একজন তো তার থিসিস ওর নামে উৎসর্গ করে বসল। ও বললে, “হায় রে কপাল, লাজায় ফেললে আমাকে । তোমার পোস্টগ্রাজুয়েটী মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে শুনলুম, অথচ মালচন্দন দিলে অজায়গায়, হিসাব করে ভক্তি না করলে উন্নতি হবে না যে ” কিছুদিন থেকে একটি ছেলের দিকে সোহিনী দৃষ্টিপাত করছিল। ছেলেটি পছন্দসই বটে । তার নাম রেবতী ভট্টাচাৰ্য । এরই মধ্যে সায়ালের ডাক্তার পদবীতে চড়ে বসেছে । ওরা দুটা-একটা লেখার যাচাই হয়ে গেছে। বিদেশে t লোকের সঙ্গে মেলামেশা করবার কলাকৌশল সোহিনীর ভালো করেই জানা আছে। মন্মথ চৌধুরী রোবতীর প্রথম দিককার অধ্যাপক । ঠাকে নিলে বশ করে। কিছুদিন চায়ের সঙ্গে রুটিটাস্ট, অমলেট, কখনো-বা ইলিশমাছের ডিমের বড় খাইয়ে কথাটা পাড়ালে। বললে, “আপনি হয়তো ভাবছেন আমি আপনাকে বারে বারে চা খেতে ডাকি কেন ।” "মিসেস মল্লিক, আমি তোমাকে নিশ্চয় বলতে পারি, সেটা আমার দুর্ভাবনার বিষয় নয়।” সেহিনী বললে, “লোকে ভাবে, আমরা বন্ধুত্ব করে থাকি স্বার্থের গরজে ।” SrLB BuB BBBS BBBLL BBL BB Y KSLLL BBD BBS rL LBT BGL S BB এই বা কম কথা কী, আমার মতো অধ্যাপককে দিয়েও কারও স্বাৰ্থসিদ্ধি হতে পারে। এ জাতটায় বুদ্ধি ভোখেয়া বাইরে হাওয়া খেতে পায় না বলে ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। আমার কথা শুনে তোমায় হাসি SLLiLS LLL LLTBLSSBBLSSLLLLLL LBB BBBBB BD BD BBL BBS BB S