পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डिन जी SY VO সেইজন্যেই নিজেদের শ্ৰেষ্ঠতা নিয়ে একটু বেশি জোর দিয়ে তর্ক করে।” “না দাদু, ও তোমার বাজে কথা। আসল হচ্ছে এটা শ্ৰীদেবতার দেশ- এখানে পুরুষেরা ত্রৈণ, মেয়েরাও ত্রৈণ। এখানে পুরুষরা কেবলই মামা করছে, আর মেয়েরা চিরশিশুদের আশ্বাস দিচ্ছে যে তারা মায়ের জাত । আমার তো লাজ করে। পশু-পক্ষীদের মধ্যেও মায়ের জাত নেই কোথায় ?” • চিত্তচাঞ্চল্যে কাজের এত বাধা ঘটছে যে লজা পাচ্ছি মনে মনে । সদরে বাজেটের মিটিঙে রিসার্চবিভাগে আরো কিছুদিন মজুর করিয়ে নেবার প্রস্তাব ছিল। তার সমর্থক রিপোর্টখানা অর্ধেকের বেশি লেখাই হয় নি। অথচ এদিকে ক্রোচের। এসথেটিকস নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুনে আসছি। অচিরা নিশ্চিত জানে বিষয়টা আমার উপলব্ধি ও উপভোগের সম্পূর্ণ বাইরে। তা হলেও চলত, কিন্তু আমার বিশ্বাস ব্যাপারটাকে সেইচ্ছে করে শোচনীয় করে তুলেছে। ঠিক এই সময়টাতেই সঁওতালদের পার্বণ। তারা পচাই মদ খাচ্ছে আর মাদল বাজিয়ে মেয়ে পুরুষে নৃত্য করছে। অচিরা ওদের পরম বন্ধু। মদের পয়সা জোগায়, সালুকিনে দেয় সঁওতাল ছেলেদের কোমরে বঁাধবার জন্যে, বাগান থেকে জবাফুলের জোগান দেয় সাওতাল মেয়েদের চুলে পরিবার। ওকে না হলে তাদের চালেই না। অচিরা অধ্যাপককে বলেছে, ও তো একদিন থাকতে পারবে না। অতএব এই সময়টাতে বিরলে আমাকে নিয়ে ক্রোচের রসতত্ব যদি পড়ে শোনান তা হলে আমার সময় আনন্দে কাটবে। একবার সসংকোচে বলেছিলুম, “সঁওতালদের উৎসব দেখতে আমার বিশেষ কৌতুহল আছে।” স্বয়ং অধ্যাপক বললেন, না, সে আপনার ভালো লাগবে না। আমার ইনটেলেকচুয়ল মনোবৃত্তির নির্জলা একান্ততার পরে ঠার এত বিশ্বাস। মধ্যাহ্নভোজনের পরেই অধ্যাপক গুন গুন করে পড়ে চলেছেন। দূরে মাদলের আওয়াজ এক-একবার থামছে। পরীক্ষণেই দ্বিগুণ জোরে বেজে উঠছে। কখনো-বা পদশব্দ কল্পনা করছি, কখনো-বা হতাশ হয়ে ভাবছি অসমাপ্ত রিপোর্টের কথা । সুবিধে এই অধ্যাপক জিগগেসাই করেন না কোথাও আমার ঠেকছে। কিনা। তিনি ভাবেন সমস্তই জলের মতো সোজা। মাঝে মাঝে প্রতিবাদ উপলক্ষে প্রশ্ন করেন, আপনারও কি এই মনে হয় না। আমি খুব জোরের সঙ্গে বলি, frog ইতিমধ্যে কিছুদূরে আমাদের অর্ধসমাপ্ত কয়লার খনিতে মজুরদের হল ষ্ট্ৰাইক । ঘটালেন যিনি, এই তার ব্যাবসা, স্বভাব এবং অভাব বশত ; সমস্ত কাজের মধ্যে এইটেই সব চেয়ে সহজ । কোনো কারণ ছিল না, কেননা আমি নিজে সোশালিস্ট, সেখানকার বিধিবিধান আমার নিজের হাতে বাধা, কারও BBO D DD BBBS DD DDD DDBB S নূতন যন্ত্র এসেছে জার্মািন থেকে, তারই খাটাবার চেষ্টায় ব্যন্ত আছি। এমন সময় উত্তেজিত ভাবে এসে উপস্থিত অচিরা । বললে, “আপনি মোটা মাইনে নিয়ে ধনিকের নায়েবি করছেন, এদিকে গরিবের দারিদ্র্যের সুযোগটাকে নিয়ে আপনি-” চনা করে উঠল মাথা। বাধা দিয়ে বললুম, “কাজ চালাবার দায়িত্ব এবং ক্ষমতা যাদের তারাই অন্যায়কারী, আর জগতে যারা কোনো কাজই করে না করতে পারেও না, দয়ামায়া কেবল তাদেরই— এই সহজ অহংকারের মত্ততায় সত্যমিথ্যার প্রমাণ নিতেও মন চায় না।” अन्निा बलान, “मला नग्न दलrठ फ्रान ?' আমি বললুম, “সত্য শব্দটা আপেক্ষিক। যা কিছু যত ভালোই হােক, তার চেয়ে আরো ভালো হতেও পারে। এই দেখুন-না। আমার মোটা মাইনে বটে, তার থেকে মাকে পাঠাই পঞ্চাশ, নিজে রাখি ত্রিশ, আর বাকি- সে হিসেবটা থাক। কিন্তু মার জন্যে পনেরো নিজের জন্যে পাঁচ রাখলে আইডিয়ালের আরো কাছ ঘেঁষে যেত, কিন্তু একটা সীমা আছে তো ।” অচিরা বললে, “সীমােটা কি নিজের ইচ্ছের উপরেই নির্ভর করে।” আমি বললুম, “না, অবস্থার উপরে। যে কথাটা উঠল সেটা একটু বিচার করে দেখুন। যুরোপে ইন্ডীয়ালিজম গড়ে উঠেছে দীর্ঘকাল ধরে। যাদের হাতে টাকা ছিল এবং টাকা করবার প্রতিভা ছিল