পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«96ነo রবীন্দ্র-রচনাবলী ভাগিনী বলিল, “মহারাজ, পাখিটার শিক্ষা পুরা হইয়াছে।” রাজা শুধাইলেন, “ও কি আর লাফায় ।” ভাগিনা বলিল, “আরে রাম !” “आन्न क्लि egफु ।” " " “আর কি গান গায় ।” "ਕ "आना ना अश्न उाल केि 5ाश ।” "ਕ রাজা বললেন, “একবার পাখিটাকে আনো তো, দেখি ।” পাখি আসিল । সঙ্গে কোতোয়াল আসিল, পাইক আসিল, ঘোড়সওয়ার আসিল । রাজা পাখিটাকে টিপিলেন, সে হা করিল না, ই করিল না। কেবল তার পেটের মধ্যে পুঁথির শুকনো পাতা খসখস গজগজ করিতে লাগিল । মাির লক্ষে দক্ষিণাওয়ার স্পিারগুলি মােস লুঙ্গিত হলে আকাশ আবুল করি a yes অস্পষ্ট জানলার ফঁাকে ইফাকে দেখা যায় সামনের বাড়ির জীবনযাত্রা । রেখা আর ছেদ, দেখা আর না-দেখা দিয়ে সেই ছবি আঁকা । একদিন পড়ার বই পড়ে রইল, বনমালীর চোখ গেল সেই দিকে । সেদিন দেখে, সে বাড়ির ঘরকন্নার পুরোনো পটের উপর দুজন নতুন লোকের চেহারা। একজন বিধবা প্ৰবীণা, আর-একটি মেয়ের বয়স ষোলো হবে কি সতেরো । সেই প্ৰবীণা জানলার ধারে বসে মেয়েটির চুল বেঁধে দিচ্ছে, আর মেয়ের চোখ বেয়ে জল পড়ছে। আর-একদিন দেখা গেল, চুল বাধবার লোকটি নেই। মেয়েটি দিনান্তের শেষ আলোতে ঝুঁকে পড়ে বোধ হল যেন একটি পুরোনো ফোটোগ্রাফের ফ্রেম আঁচল দিয়ে মাজছে। তার পর দেখা যায়, জানলার ছেদগুলির মধ্যে দিয়ে ওর প্রতি দিনের কাজের ধারা- কোলের কাছে ধামা নিয়ে ডাল বাছা, জাতি হাতে সুপুরি কাটা, স্নানের পরে বা হাত দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভিজে চুল শুকনো, বরাদ্দার রেলিঙের উপরে বাল্যাপোেশ রোদদূরে মেলে দেওয়া। দুপুরবেলায় পুরুষেরা আপিসে ; মেয়েরা কেউ বা ঘুমোয়, কেউ বা তাস খেলে ; ছাতে পায়রার খোপে পায়রাদের বকবকম মিইয়ে আসে। সেই সময়ে মেয়েট ছাতের চিলেকোঠায় পা মেলে বই পড়ে ; কোনোদিন বা বইয়ের উপর কাগজ রেখে চিঠি লিখে, আবাধা চুল কপালের উপরে থমকে থাকে, আর আঙুল যেন চলতে চলতে চিঠির कiन कiन कथों की । একদিন বাধা পড়ল। সেদিন সে খানিকটা লিখছে চিঠি, খানিকটা খেলছে কলম নিয়ে, আর আলসের উপরে একটা কাক আধখাওয়া আমের আঁঠি ঠুকরে ঠকরে খাচ্ছে। এমন সময়ে যেন পঞ্চমীর অন্যমন চাদের কণার পিছনে পা টিপে টিপে একটা মোটা মেঘ এসে