পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 রবীন্দ্র-রচনাবলী श्कों ट्रों, दकों दक्षों, छद्धों देशों । হুকুই বললে, ঐ তো হীেহীেয়ের গলা শুনি। একবার হাক দাও তো। ডাক পড়ল, হীেহীে ! সভাপতি বিছানা ছেড়ে এসে বললেন, শিবুরাম ! বাইরে থেকে আবার ডাক পড়ল, হীেহীে ! গোসাইজি আবার সতর্ক করে দিলেন, শিবুরাম ! তৃতীয়বার ডাকে শিবুরাম ছুটে বেরিয়ে আসতেই শেয়ালরা দিল দৌড়। হুকুই, হৈয়াে, হুহু প্রভৃতি বড়ো বড়ো শেয়াল-বীর আপনি আপন গর্তের ভিতর গিয়ে ঢুকল। সমস্ত শেয়াল-সমাজ স্তম্ভিত ! তার পর ছ। মাস গেল । শেষ খবর পাওয়া গেছে। শিবুরাম সারারাত হেঁকে হেঁকে বেড়াচ্ছে, আমার লেজ কই, আমার gछछ को? । গোসাঁইয়ের শোবার ঘরের সামনের রোয়াকে বসে উধৰ্ব্ব দিকে মুখ তুলে প্রহরে প্রহরে কোকিয়ে উঠে বলে, আমার লেজ ফিরে দাও । গোসাই দরজা খুলতে সাহস করে না- ভয় পায়, পাছে তাকে খ্যাপা শেয়ালে কামড়ায় । শেয়ালকাটার বনে যেখানে শিবুরামের বাড়ি সেখানে ওরা যাওয়া বন্ধ । জ্ঞাতিরা ওকে দূর থেকে দেখলে, হয় পালায় নয় খেকিয়ে কামড়াতে আসে। ভাঙা চণ্ডীমণ্ডপেই থাকে, সেখানে একজোড়া প্যাচা ছাড়া আর অন্য প্রাণী নেই। খাদু, গোবর, বেঁচি, টেড়ি প্রভৃতি বড়ো বড়ো ডানপিটে ছেলেরাও ভূতের ভয়ে সেখানকার জঙ্গল থেকে করমচা পাড়তে যায় না। শেয়ালি ভাষায় শেয়াল একটা ছড়া লিখেছে, তার আরম্ভটা এইরকম ওরে লেজ, হারা লেজ, চক্ষে দেখি ধুয়া । বক্ষ মোর গেল ফেটে হুক হুয়া হুয়া । পূপে বলে উঠল, কী অন্যায়, ভারি অন্যায়। আচ্ছা, দাদামশায়, ওর মাসিও ওকে নেবে না ঘরে ? আমি বললুম, তুমি ভেবো না ; ওর গায়ের রোয়াগুলো আবার উঠক, তখন ওকে চিনতে পারবে । किल्लु, ७न्न (ब्लछ ? হয়তো লাঙ্গুলাদ্য ঘূত পাওয়া যেতে পারে কবিরাজমশায়ের ঘরে । আমি খোজ নেব । সে আমাকে আড়ালে নিয়ে গিয়ে বললে, রাগ কোরো না দাদা, হক কথা বলব— তোমারও (sses WF SCAS বে-আদাব কোথাকার, কিসের শোধন আমার । তোমার ঐ বুড়োমির শোধন । বয়স তো কম হয় নি, তবু ছেলেমানুষিতে পাকা হতে পারলে না ! প্ৰমাণ পেলে কিসে । এই-যে রিপোর্টটা পড়ে শোনালে, ওটা তো আগাগোড়া ব্যঙ্গ, প্ৰবীণ বয়সের জ্যাঠামি । দেখলে না। পুপূদিদির মুখ কিরকম গভীর ? বোধ হয়। গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছিল। ভাবছিল, রোয়া-চাচা শেয়ালটা এখনই এল বুঝি তার কাছে নালিশ করতে । বুদ্ধির মাত্রােটা একটু কমাতে যদি না পার তা হলে গল্প বলা ছেড়ে দাও । ওটা কমানো আমার পক্ষে শক্ত । তুমি বুঝবে কী করে ; তোমাকে তো চেষ্টাই করতে হয় না, বিধাতা আছেন তোমার সহায় । দাদা, রাগ করছ বটে, কিন্তু আমি বলে দিলুম, বুদ্ধির বঁাজে তোমার রস যাচ্ছে শুকিয়ে । মজা করছি মনে কর, কিন্তু তোমার ঠাট্ট গায়ে ঠেকলে ঝামার মতো লাগে । এর আগে তোমাকে অনেকবার সতর্ক করে দিয়েছি- হাসতে গিয়ে, হাসাতে গিয়ে পরকাল খুইয়ো না । লেজকাটা শেয়ালের কথা