পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় Vigo ল কলকাতা অঞ্চলে অনেক স্থলে নাকার গ্রহণ করে, যেমন : নেওয়া নুন নেবু, নিচু (ফেল), নাল (লাল), নাগাল নেপন্যাপা, নোয়ী (সধবার হাতের), ন্যাজ, নোড়া (লে), ন্যান্টা (উলঙ্গ)। কাব্যের DEzSDBD DDD SS LL DDDDDLS DBS BDBDSSBBLSSSBz LB DSDBD DBL বাংলা বর্ণমালায় সংস্কৃতের তিনটি বর্ণ আছে, শ স ষ। কিন্তু সবকটির অতিত্বের পরিচয় উচ্চারণে পাই নে। ওরা বাঙালি শিশুদের বর্ণপরিচয়ে বিষম বিভ্ৰাট ঘটিয়েছে। উচ্চারণ ধরে দেখলে আছে এক তালব্য শ। আর বাকি দুটাে আসন দখল করেছে সংস্কৃত অভিধানের দোহাই পেড়ে। দন্ত্য সঞর উচ্চারণ অভিধান অনুসারে বাংলায় নেই বটে, কিন্তু ভাষায় তার দুটাে-একটা ফাক জুটে গেছে। যুক্তবর্ণের যোগে রসনায় সে প্রবেশ করে, যেমন : স্নান হন্ত কান্তে মাত্তল। শ্ৰী মিশ্র অশ্রু ; তালব্য শ'এর মুখোশ পরেছে কিন্তু আওয়াজ দিচ্ছে দন্ত্য স এর। সংস্কৃতে যেখানে রফলার সংস্রবে এসেছে তালব্য শ বাংলায় সেখানে এল দন্ত্য স । এ ছাড়া "নাচতে মুছতে প্রভৃতি শব্দে চ-ছ। এর সঙ্গে তা এর (लैश (लgों प्रgा ज6 शनेि छांश । সংস্কৃতে অন্ত্যন্থ, বগীয়, দুটাে বা আছে। বাংলায় যাকে আমরা বলে থাকি তৎসম শব্দ, তাতেও একমাত্র বগীয় ব’এর ব্যবহার। হাওয়া খাওয়া প্রভৃতি ওয়া-ওয়ালা শব্দে অন্ত্যন্থ ব এর আভাস পাওয়া যায়। আসামি ভাষায় এই ওয়া অন্তঃস্থ ব দিয়েই লেখে, যেমন : “হওয়ার পরিবর্তে হবা । হু এবং অন্তঃস্থ ব’এর সংযুক্ত বর্ণেও রসনা অন্তঃস্থ বীকে স্পর্শ করে, যেমন : আহবান জিহবা । বাংলা বর্ণমালার সাবপ্রান্তে একটি যুক্তবর্ণকে স্থান দেওয়া হয়েছে, বর্ণনা করবার সময় তাকে বলা হয় ; ক’এ মূর্ধন্য য "ক্ষিয়ে । কিন্তু তাতে না থাকে। ক, না থাকে মূর্ধন্য ষ। শব্দের আরম্ভে সে হয় খ ; অন্তে মধ্যে দুটাে খএ জোড়া ধ্বনি, যেমন "বক্ষ'। এই ক্ষর একটা বিশেষত্ব দেখা যায়, ইকারের পূর্বে সে একার গ্রহণ করে, যেমন : ক্ষেতি ক্ষেমি ক্ষেপি - তা ছাড়া আকার হয় ঢাকার, যেমন ‘ক্ষান্ত হয় ‘খ্যান্তো ; কারও কারও মুখে ক্ষম হয় ‘খাম’ । SV) আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্র যতই বেড়ে চলেছে ততই দেখতে পাচ্ছি, আমাদের চলতি ভাষার কারখানায় জোড়তোড়ের কৌশলগুলো অত্যন্ত দুর্বল। বিশেষ্যকে বিশেষণ বা ক্রিয়াপদে পরিণত করবার সহজ উপায় আমাদের ভাষায় নেই বললেই হয়। তাই বাংলা ভাষার আপনি রীতিতে নতুন শব্দ বানানো প্ৰায় অসাধ্য। সংস্কৃত ভাষায় কতকগুলো টুকরো শব্দ আছে যেগুলোর স্বতন্ত্র কােজ নেই, তারা বাক্যের লাইন বদলিয়ে দেয়। রেলের রাস্তায় যেমন সিগন্যাল, ভিন্ন দিকে ভিন্ন রঙের আলোয় তাদের ভিন্ন রকমের সংকেত, সংস্কৃত ব্যাকরণের উপসর্গগুলো শব্দের মাথায় চড়া সেইরকম সিগন্যাল । কোনোটাতে আছে নিবোধ, কোনোটা দেখায় এগোবার পথ, কোনোটা বাইরের পথ, কোনোটা নীচের দিকে, কোনোটা উপরের দিকে, কোনোটা চারদিকে, কোনোটা ডাকে ফিরে আসতে । 'গত শব্দে আ উপসর্গ জুড়ে দিলে হয় ‘আগত, সেটা লক্ষ্য করায় কাছের দিক ; নির জুড়ে দিলে হয় "নিৰ্গত, দেখিয়ে দেয় বাইরের দিক ; অনু জুড়ে দিলে হয় ‘অনুগত, দেখিয়ে দেয় পিছনের দিক ; তেমনি ‘সংগত দুর্গত “অপগত প্রভৃতি শব্দে নানা দিকে তর্জনী চালানো। উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে । তারা আছে একই শব্দের নানা অর্থ বানাবার কাজে । নতুন শব্দ তৈরি করবার বেলায় তাদের নইলে চলে না । শব্দগড়নের কাজে বাংলাতেও কতকগুলো প্ৰত্যয় পাওয়া যায়। তার একটার দৃষ্টান্ত অন, যার থেকে হয়েছে : চলনবিলন গড়ন ভােঙন। এরই সহকারী আ প্রত্যয়, যার থেকে পাওয়া যায় বিশেষ্য পদে ; চলা বলা গড়া ভাঙা । এই প্রত্যয়টা বাংলায় সবচেয়ে সাধারণ, প্ৰায় সব ক্রিয়াতেই এদের জোড়া যায়। এই অ্যা প্ৰত্যয় বিশেষণেও লাগে, যেমন : ঠেলা গাড়ি, ভাঙা রান্ত । কিন্তু তি দিয়ে