পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VAR মংপু KR eð84 রবীন্দ্র-রচনাবলী অসীম সৃষ্টির যজে মুহুর্তের স্ফুলিঙ্গের মতো ধারাবাহী শতাব্দীর ইতিহাসে । এসেছি সে পৃথিবীতে যেথা কল্প কল্প ধরি প্ৰাণপদ্ধ সমুদ্রের গর্ভ হতে উঠি জড়ের বিরাট অন্ধতলে উদঘাটিল আপনার নিগুঢ় আশ্চর্য পরিচয় শাখায়িত রূপে রূপান্তরে । অসম্পূর্ণ অস্তিত্বের মোহাবিষ্ট প্রদোষের ছায়া আচ্ছন্ন করিয়া ছিল পশুলোক দীর্ঘ যুগ ধরি ; কাহার একাগ্র প্রতীক্ষায় অসংখ্যা দিবস রাত্রি-অবসানে মন্থরগমনে এল মানুষ প্ৰাণের রঙ্গভূমে ; নূতন নূতন দীপ একে একে উঠিতেছে জ্বলে, নূতন নূতন অর্থ লভিতেছে বাণী ; অপূর্ব আলোকে মানুষ দেখিছে তার অপরাপ ভাবিয্যের রূপ, পৃথিবীর নাট্যমঞ্চে অঙ্কে অঙ্কে চৈতন্যে ধীরে ধীরে প্রকাশের পালাআমি সে নাট্যের পাত্রদলে পরিয়াছি সাজ । আমারও আহবান ছিল যবনিকা সরাবার কাজে, এ আমার পরম বিস্ময় । সাবিস্ত্রী পৃথিবী এই আত্মার এ মর্তনিকেতন, আপনার চতুর্দিকে আকাশে আলোকে সমীরণে ভূমিতলে সমুদ্রে পর্বতে কী গৃঢ় সংকল্প বহি করিতেছে সূৰ্যপ্ৰদক্ষিণসে রহস্যসূত্রে গাথা এসেছিনু আশি বর্ষ আগে, চলে যাব। কয় বর্ষ পরে { W9 কাল প্ৰাতে মোর জন্মদিনে এ শৈল-আতিথ্যবাসে বুদ্ধের নেপালী ভক্ত এসেছিল মোর বার্তা শুনে । বুদ্ধের বন্দনাময় শুনাইল আমার কল্যাণেগ্রহণ করিনু সেই বাণী । এ ধারায় জন্ম নিয়ে যে মহামানব সব মানবের জন্ম সার্থক করেছে একদিন,