পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԾՊԵ- Los ब्रथैौडण-ब्रळ्नांबलौ চলেছে। কিন্তু, ঐ সাজাহানের কন্যা জাহানারার একটি কায়ার গান ? তাকে নিয়ে আমরা বলেছি, ওঁ । কিন্তু, আমরা দান করতে চাইলেই কি দান করতে পারি। যদি ৰলি তুভ্যমহং সম্প্রদদে’, তা হলেই কি বর এসে হাত পাতেন । নিত্যকাল এবং নিখিলবিশ্ব এই কথাই বলেন– “ষদেতং হৃদয়ং মম’ তার সঙ্গে তোমার সম্প্রদানের মিল থাকা চাই । তোমার অনন্তম যা দেবেন আমি তাই নিতে পারি। তিনি মেঘদূতকে নিয়েছেন—তা উজয়িনীর বিশেষ সম্পত্তি না, তাকে বিক্রমাদিত্যের সিপাই শাস্ত্রী পাহারা দিয়ে তার অস্তঃপুরের হংসপদিকণদের মহলে আটকে রাখতে পারে নি। পণ্ডিতরা লড়াই করতে থাকুন, তা খৃস্টজন্মের পাচশো বছর পূর্বে কি পরে রচিত। তার গায়ে সকল তারিখেরই ছাপ আছে। পণ্ডিতেরা তর্ক করতে থাকুন, তা শিপ্রাতীরে রচিত হয়েছিল না গঙ্গাতীরে । তার মন্দাক্রাস্তার মধ্যে পূর্ববাহিনী পশ্চিমবাহিনী সকল নদীরই কলধ্বনি মুখরিত। অপর পক্ষে এমন-সব পাচলি আছে যার অনুপ্রাসছটার চকমকি ঠোকা ফুলিঙ্গবর্ষণে সভাস্থ হাজার হাজার লোকে মুগ্ধ হয়ে গেছে ; তাদের বিশুদ্ধ স্বাদেশিকতায় আমরা যতই উত্তেজিত হই-না কেন, সে-সব পাচালির দেশ ও কাল স্বনিদিষ্ট ; কিন্তু সর্বদেশ ও সর্বকাল তাদের বর্জন করাতে তারা কুলীনের অনূঢ়া মেয়ের মতো ব্যর্থ কুলগৌরবকে কলাগাছের কাছে সমর্পণ ক’রে নিঃসন্ততি হয়ে চলে যাবে। উপনিষদ যেখানে ব্রহ্মের স্বরূপের কথা বলেছেন অনন্তম, সেখানে তার প্রকাশের কথা কী বলেছেন । বলেছেন, আনন্দ রূপমমুতং যদ্বিভাতি । এইটে হল আমাদের আসল কথা । সংসারটা যদি গারদথানা হত তা হলে সকল সিপাই মিলে রাজদণ্ডের ঠেলা মেরেও আমাদের টলাতে পারত না । আমরা হরতাল নিয়ে বসে থাকতেম, বলতেম 'আমাদের পানাহার বন্ধ’ । কিন্তু, আমি তো স্পষ্টই দেখছি, কেবল যে চারি দিকে তাগিদ অাছে তা নয় । বারে বারে আমার হৃদয় যে মুগ্ধ হয়েছে। এর কী দরকার ছিল । টিটাগড়ের পাটকলের কারখানায় যে মজুরের খেটে মরে তারা মজুরি পায়, কিন্তু তাদের হৃদয়ের জন্তে তো কারও মাথাব্যথা নেই। তাতে তো কল বেশ ভালোই চলে । যে-মালিকের শতকরা ৪• • টাকা হারে মূনাফা নিয়ে থাকে তারা তো মনোহরণের জন্ত এক পয়সাও অপব্যয় করে না । কিন্তু, জগতে তো দেখছি, সেই মনোহরণের আয়োজনের অন্ত নেই । অর্থাৎ, দেখা যাচ্ছে, এ কেবল বোপদেবের মুগ্ধবোধের স্বত্রজাল নয়, এ ষে দেখি কাব্য । অর্থাৎ, দেখছি ব্যাকরণটা রয়েছে দাসীর মতো পিছনে, আর রসের লক্ষ্মী রয়েছেন সামনেই। তা হলে কি এর প্রকাশের মধ্যে দণ্ডীর দণ্ডই রয়েছে না রয়েছে কবির আনন্দ ?