পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে έινό বিদ্যাপতি লিখছেন— বব গোধূলিসময় বেলি ধনি মন্দিরবাহির ভেলি, নব জলধরে বিজুরিরেহ দ্বম্ব পসারি গেলি । গোধূলি-বেলায় পূজা শেষ করে বালিকা মন্দির থেকে বাহির হয়ে ঘরে ফেরে— আমাদের দেশে সংসার-ব্যাপারে এ ঘটনা প্রত্যহই ঘটে। এ কবিতা কি শস্বরচনার দ্বারা তারই পুনরাবৃত্তি । জীবন-ব্যবহারে যেটা ঘটে, ব্যবহারের দায়িত্বমুক্ত ভাবে সেইটেকেই কল্পনায় উপভোগ করাই কি এই কবিতার লক্ষ্য। তা কখনোই স্বীকার করতে পারি নে। বস্তুত, মন্দির থেকে বালিকা বাহির হয়ে ঘরে চলেছে, এই বিষয়টি এই কবিতার প্রধান বস্ত নয় । এই বিষয়টিকে উপলক্ষ্যমাত্র করে ছন্দে-বন্ধে বাক্যবিন্যাসে উপমাসংযোগে যে একটি সমগ্র বস্তু তৈরি হয়ে উঠছে সেইটেই হচ্ছে আসল জিনিস। সে জিনিসটি মূল বিষয়ের অতীত, তা অনির্বচনীয়। ইংরেজ কবি কীটুস একটি গ্রীক পূজাপাত্রকে উদ্দেশ্য করে কবিতা লিখেছেন । যে-শিল্পী সেই পাত্রকে রচনা করেছিল সে তো কেবলমাত্র একটি আধারকে রচনা করে নি। মন্দিরে অর্ঘ্য নিয়ে যাবার স্বযোগ মাত্র ঘটাবার জন্যে এই পাত্রের স্বষ্টি নয়। অর্থাৎ, মামুষের প্রয়োজনকে রূপ দেওয়া এর উদ্দেশু ছিল না। প্রয়োজনসাধন এর দ্বারা নিশ্চয়ই হয়েছিল, কিন্তু প্রয়োজনের মধ্যেই এ নি:শেষ হয় নি। তার থেকে এ অনেক স্বতন্ত্র, অনেক বড়ো। গ্ৰীক শিল্পী সুষমাকে, পূর্ণতার একটি আদর্শকে, প্রত্যক্ষতা দান করেছে ; রূপলোকে অপরূপকে ব্যক্ত করেছে। সে কোনো সংবাদ দেয় নি, বহিঃসংসারের কোনো-কিছুর পুনরাবৃত্তি করে নি। অন্তরের অহেতুক আনন্দকে বাহিরে প্রত্যক্ষগোচর করার দ্বারা তাকে পর্যাপ্তি দান করবার যে-চেষ্টা তাকে খেলা না বলে লীলা বলা যেতে পারে । সে হচ্ছে আমাদের রূপ স্বষ্টি করবার বৃত্তি ; প্রয়োজনসাধনের বৃত্তি নয়। তাতে মানুষের নিত্যকর্মের, দৈনিক জীবনের সম্বন্ধ থাকতেও পারে। কিন্তু, সেটা অবাস্তর । चांभां८धद्र चांद्यांद्र भ८षा अर्थ७ यै८कTब बांम* श्रां८छ् । अांभद्रा या-किहू छानि কোনো-না-কোনো ঐক্যস্থত্রে জানি । কোনো জানা আপনাতেই একান্ত স্বতন্ত্র নয় । ৰেখানে দেখি আমাদের পাওয়া বা জানার অস্পষ্টতা সেখানে জানি, মিলিয়ে জানতে না পারাই তার কারণ । আমাদের আত্মার মধ্যে জ্ঞানে ভাবে এই-ষে একের বিহার, সেই এক ৰখন লীলাময় হয় যখন সে স্থষ্টির দ্বারা আনন্দ পেতে চায়, সে তখন এককে বাহিরে স্বপরিস্ফুট করে তুলতে চায়। তখন বিষয়কে উপলক্ষ্য করে, উপাদানকে