পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

€విచి ब्ररौटण-ब्रछनांवणौ চার দিকে তথ্যের সীমানা একে পাকা পিলপে গেথে তুলতে চায়, গুণীরা চিরকাল তাদের দিকে তাকিয়ে বিধাতার কাছে দরবার করেছে— ইতর তাপশতানি যথেচ্ছয়া বিতর তানি সহে চতুরানন । অরলিকেষু রসস্ত নিবেদনং শিরসি মা লিখ, মা লিখ, মা লিখ । বিধি হে, যত তাপ মোর দিকে হানিবে, অবিচল রব তাহে । রসের নিবেদন অরসিকে ললাটে লিখো না হে, লিখো না হে ॥ সৃষ্টি আজ এই বক্তৃতাসভায় আসব বলে যখন প্রস্তুত হচ্ছি তখন শুনতে পেলুম, আমাদের পাড়ার গলিতে সানাই বাজছে । কী জানি কোন বাড়িতে বিবাহু । খাম্বাজের করুণ তান শহরের আকাশে আঁচল বিছিয়ে দিল । উৎসবের দিনে বঁাশি কেন বাজে । সে কেবল স্বরের লেপ দিয়ে প্রত্যহের সমস্ত ভাঙাচোরা মলিনতা নিকিয়ে দিতে চায়। যেন আপিসের প্রয়োজনে লৌহপথে কুত্ৰতার রথযাত্রা চলছে না, যেন দরদাম কেনাবেচা ও-সমস্ত কিছুই না। সব ঢেকে দিলে। ঢেকে দিলে কথাটা ঠিক হল না ; পর্দাটা তুলে দিলে— এই ট্রাম-চলাচলের, কেনা-বেচার, হাক-ভাকের পর্দা । বরবধূকে নিয়ে গেল নিত্যকালের অন্তঃপুরে, রসলোকে । তুচ্ছতার সংসারে, কেনাবেচার জগতে, বরবধুরাও তুচ্ছ ; কেই বা জানে তাদের নাম, কেই বা তাদের আসন ছেড়ে দেয় । কিন্তু, রসের নিত্যলোকে তারা রাজারানী । চারি দিকের ছোটো বড়ো সমস্ত থেকে সরিয়ে নিয়ে এলে কিংখাবের সিংহাসনে তাদের বরণ করে নিতে হবে। প্রতিদিন তারা তুচ্ছতার অভিনয় করে, এইজপ্তেই প্রতিদিন তারা ছায়ার মতো অকিঞ্চিৎকর । আজ তারা সত্যরূপে প্রকাশমান ; তাদের মূল্যের সীমা নেই ; তাদের জন্যে দীপমালা সাজানো, ফুলের ডালি প্রস্তত, বেদমন্ত্রে চিরন্তন কাল তাদের আশীৰ্বাদ করবার জন্তে উপস্থিত । এই বরবধূ, এই দুটি মানুষ যে সত্য, কোনো রাজা-মহারাজার চেয়ে কম সত্য নয়, সমস্ত সংসার তাদের এই পরিচয়টি গোপন করে রাখে । কিন্তু, সেই নিত্যপরিচয় প্রকাশ করবার ভার নিয়েছে বঁাশি । মনে করে-না কেন, এক কালে তপোবনে থাকত একটি মেয়ে ; সেদিনকার হাজার হাজার মেয়ের মধ্যে সেও ছিল সামান্ততার কুহেলিকায় ঢাকা । তাকে দেখে একদিন রাজার মন জুলেছিল, আর-একদিন রাজা তাকে ত্যাগ